নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রীসহ ৪ খুনের ঘটনায় আটক শামীম রেজার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার প্রতাপেরচর এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবরোধে এলাকার শত শত মানুষ অংশ নেয়।
এ সময় মেঘনা-প্রতাপেরচর সড়ক অবরোধ করে রাখলে প্রায় একঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ১৪ মে প্রতাপেরচর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শামীম রেজাকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বুধবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি নির্যাতনে শামীমের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং ওইদিনই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে।
তবে এ কমিটিকে ‘লোক দেখানো’ অভিহিত করে নিহতের বড় ভাই ইকবাল মানববন্ধনে বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য এএসপি (বি সার্কেল) উত্তম প্রসাদ পাঠকও শামীমকে নির্যাতন করেছে। ফলে কমিটির প্রতিবেদন পুলিশের পক্ষে যাবে।
তিনি এ কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ৭ দিনের মধ্যে নির্যাতনকারী ওই কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
শামীমের স্ত্রী সাবিকুন্নাহার তুলি অভিযোগ করেন, দাবিমতো টাকা না দেয়ার কারণেই পুলিশ তার স্বামীকে নির্র্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
“চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে স্বামীকে হত্যা করিয়েছে। ”
গত ১৯ এপ্রিল রাতে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বাড়িকে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তার দ্বিতীয় স্ত্রী শামীমা ইসলাম সুমা, শ্যালক কুতুবদ্দিন রানা ও দুই গৃহকর্মী রেখা ও মনিকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের দাবি, শামীম ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।