যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
১.
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টা একসময় সবুজে সবুজ ছিল । ফাগুনে আগুন হয়ে যেত পুরো ক্যাম্পাস, আর এখন এই ফাগুনের শেষে এই প্রখর চৈত্রে মরা গাছ গুলোতে ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যেত সবুজের, নবীনের প্রাণের উৎসব । আমরা সবাই মিলে, আমরা সবাই খুঁজতাম-গুনতাম কত রকম সবুজ রঙ ।
এই এক সবুজের কত প্রকার ?? কোথাও কালচে সবুজ, কলা পাতা সবুজ, প্যারোট সবুজ, আফলাতুন সবুজ... একসময় আমাদের শব্দের ভান্ডার ফুরিয়ে যেত কিন্তু সবুজের বাহার ফুরাতো না ....
খুব বেশীদিন সময় পেরুয়নি হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষ হবে তার আগেই দেখি আর সবুজ, আর ফাগুনের রং আর জারুলের বেগুনি চোখে পড়ে না, চোখ ঢেকে গেছে বিজ্ঞাপনে, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে....আমাদের ক্যাম্পাসের মালিক তখন বিলবোর্ডের কল্যাণে সকল কর্পোরেট ওয়ালারা । আর প্রতিবাদ জানাই, কর্পোরেট আগ্রাসনের প্রতিবাদ, তাদের সেই বিলবোর্ড গুলোতে কালো রঙ ঢালি কিন্তু তাদের অতো বড় বিজ্ঞাপনে রঙ ঢালার পয়সা যে আমাদের নেই !!! আমাদের সেই প্রতিবাদে আচড় পড়ে সেই জড় বিলবোর্ড গুলোর গায়ে কিন্তু তার বিন্দুমাত্র আচড় লাগে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা কর্পোরেট ওয়ালাদের গায়ে , দুদিন চুপচাপ থাকার পর আবার সেই বিলবোর্ডে চড়ে নতুন রঙ্গীন বিজ্ঞাপনে । সেই বিজ্ঞাপনের রঙচঙ যেন আমাদের ব্যঙ্গ করে । সেই পর্বত সমান বিজ্ঞাপনের নীচে দাড়িয়ে নিজেকে বড্ড ছোট মনে হয়, তুচ্ছ মনে হয়, আমরা অসহায়বোধ করি...
২.
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টা একসময় আমাদের ছিল । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টা একসময় সবুজে সবুজ ছিল ।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টা এখন আর আমাদের নেই, সেই সবুজ নেই । বিজ্ঞাপনে ঢেকে গেছে মুখ, বিজ্ঞাপনে ঢেকে গেছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ স্পন্দন ... শুধু কি তাই এখন সেই পর্বত সমান কর্পোরেটদের পর্বত সমান বিজ্ঞাপনের নিচে চাপা পড়ে জীবন, থেমে যায় প্রাণ স্পন্দন । আর আমরা সেই কর্পোরেট রঙ্গ দেখেই সুখের আবেশ নিয়ে সবুজ হই, দেশপ্রেমিক হই , খুঁজে পাই বিজ্ঞাপনে ঢাকা স্বদেশের মুখ !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।