এতদিন আমরা চলচিত্রের অশ্লীলতা দেখেছি। আমাদের সংবাদ মাধ্যমগুলো এ নিয়ে জোরালো ভূমিকা রাখার কারনে তা আজ অনেকাংশে কমে এসেছে। কিন্তু বর্তমানকালে বিজ্ঞাপন শিল্পেও অশ্লীলতার দারুন ছোয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হয়ত এ বিষয়টি কেউ কেউ লক্ষ্য করে থাকবেন অথবা আপনারা যদি ধানম্নডি ২৭ (পুরাতন) নং সড়কের (রাপা প্লাজা’র) বামে এবং আড়ং এর ডানে “নারী মেলা”র উপরে তাকালেই দেখতে পাবেন একটি পোশাক তৈরীকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড, যাতে দুইজন নর-নারী অশ্লীলভাবে দাড়িয়ে নামমাত্র পোশাক অঙ্গে জরিয়ে কামুকদৃষ্টিতে তকিয়ে আছে । এ ধরনের পোশাক তৈরীকারী সংস্থা পোশাক তৈরী করে শরীর ঢাকার জন্য।
কিন্তু ঐ বিলবোর্ড দেখে তা মোটেও মনে হয় না। আর নামমাত্র যা শরীরে জরিয়ে আছে তাতে শরীর অবয়ব পরিপূর্ণভাবে বোঝা যাচ্ছে।
রোজার দিনে এধরনের অশ্লীল চিত্রে চোখ পড়ে একদিকে যেমন রোজা হালকা হয়ে যায় অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর ৭৬ ধারায় বলা আছে _ “কেউ রাস্তায় বা সাধারনের ব্যবহার্য স্থানে বা সেখান থেকে দূষ্টিগোচরের মধ্যে স্বেচ্ছায় এবং অশালীনভাবে নিজ দেহ এমনভাবে প্রর্দশন করে যা কোন গূহের ভেতর থেকে বা দালানের ভেতর থেকে হোক বা না হোক, কোন মহিলা দেখতে পায় অথবা কোন রাস্তায় বা সাধারনের ব্যবহার্য স্থানে কোন মহিলাকে পীড়ন করে বা তার পথ রোধ করে অথবা কোন রাস্তায় বা সাধারনের ব্যবহার্য স্থানে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে বা অশ্লীল আওয়াজ, মন্তব্য বা অঙ্গভঙ্গি করে কোন মহিলাকে অপমান বা বিরক্ত করে তবে সে ব্যক্তি ১ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ২০০০টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড দন্ডিত হতে পারে। “ আবার ধারা ৭৪ অনুযায়ী _ “যদি কেউ রাস্তায় বা সাধারনের ব্যবহার্য স্থানে বা সেখান থেকে দূষ্টিগোচরের মধ্যে কোন গূহের ভেতর থেকে দালানের ভেতর থেকে হোক বা না হোক এমনভাবে নিম্নলিখিত কোন কাজ করে যাতে কোন রাস্তা বা সাধারনের ব্যবহার্য স্থান থেকে দেখা যায় বা শোনা যায় __
(ক) বেশ্যাবূত্তির উদ্দেশ্যে কথা, অঙ্গভঙ্গি বা অশ্লীল দেহভঙ্গির দ্বারা কারো মনোযোগ আর্কষনের চেষ্টা করা অথবা
(খ) বেশ্যাবূত্তির উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে বিরক্ত করে তবে সে ব্যক্তি ৩ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ৫০০টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড দন্ডিত হতে হবে। “ এছাড়াও একই আইনে সর্বজন সমক্ষে অশালীন আচরনের সাজা হলো ৩ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ৫০০টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড দন্ডিত।
Public palace এ sex act করা নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ এর ৭৭ ধারায় এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অধ্যাদেশ, ১৯৯২ এর ৭৯ ধারায় বিধি নিষেধ সম্পর্কে বলা আছে।
ঐ বিজ্ঞাপন সরাসরী বেশ্যাবূত্তির উদ্দেশ্যে স্থাপন না করলেও এটা স্পষ্টই বোঝা যায় যে, তাতে তাদের(মডেলদের) কোন আপত্তি নেই। যারা জনসমুদ্রে এরকম নেক্কারজনকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে, তারা আড়ালে আরো কিছু করতে পারে।
সুতরাং আমাদের এখনই এ বষিয়ে সচ্চার হতে হবে । আমরা (দেশবাসী) এতদবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।
পাশাপাশী এধরনের ফোটগ্রাফার, মডেল ও প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।