my country creat me a ginipig
সরকার সারা দেশে একই সাথে ১২ টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল প্রায় একযুগ আগে। এর মধ্যে ১১টি বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং সেগুলোতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলের উপজাতীয় ছাত্র-ছাত্রীরাও কোটা সুবিধা নিয়ে পড়-শোনা করছে। কিন্তু দুভাগ্যের বিষয় হচ্ছে যে পার্বত্যাঞ্চলে অপর একটি বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। তার জন্য একাধিক স্থান নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু সন্তু লারমার বাধার কারণে তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হতে পারেনি।
সর্ব শেষ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে নতুন করে উদ্যোগ নিতে গেলে সন্তু লারমা ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা যে কোন মূল্যে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ তারা নির্লজ্জের দেশের সকল বিশ্ব বিদ্যালয় সহ উচ্চ শিক্ষার সমগ্র বিশ্ব বিদ্যালয়ে উপজাতীয় কোটা থাকার পরও তারা এ কোটা আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জেএসএস-এর সর্বশেষ প্রকাশিত পুস্তিকার ৪৫ পৃষ্ঠায় তারা ছক করে কোন বিশ্ব বিদ্যালয়ে বর্তমানে কত সংখ্যক উজাতী কোটা আছে আর সে কোটা বাড়িয়ে তারা কত করতে চায় সেখানে তা উল্লেখ করে দেয়া আছে। নিচে কয়েকটি তুলে ধরছি। ঢাবি তে বর্তমান কোটা ২৫টি তাদের প্রস্তাব প্রতি বিভাগে ৩ টি করে কোটা।
চবি তে বর্তমান কোটা প্রতিবিভাগে ২ টি(৬৬টি) তাদের দাবি প্রতিবিভাগে ৪টি করে ১৩২ টি। জাবি তে ১২ টি তাদের দাবি প্রতি বিভাগে ৩ টি। একই ভাবে মেডিক্যাল, বুয়েট, মেরিন একাডেমি, পলিটেকনিক্যাল, কৃষি কলেজ, বিআইটি সমূহ, ইনষ্টিটিউট অব টেক্সটাইল উঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই তাদের জন্য উপজাতী কোটা বৃদ্ধির দাবি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। তবে বর্তমানে কতটি উপজাতী কোটা আছে আর তাদের প্রস্তাবিত দাবি বাস্তবায়িত হলে মোট কোটা সংখ্যা কত হবে তা জেএসএস সচেতেন ভাবে এরিয়ে গেছে। তারপরও এখান থেকে যে ধারণা পাওয়া যায় তাতে বর্তমান কোটা ৫ শতাধিক হবে।
আর তাদের দাবি বাস্তবায়িত হলে এ সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। দেশের সকল মানুষের পাশাপাশি উপজাতীয়রাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হউক এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তারা পার্বত্যাঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় হতে দিবে না আবার সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার বঞ্চিত করে নিজেরা কোটা নিবে- সন্তু লারমাদের এটা কেমন ধরণের দাবি??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।