furamoon@gmail.com
গত ২৭ জানুয়ারী রাঙ্গামাটি থেকে খাগড়াছড়ি আসার পথে হামলার ঘটনা সম্পর্কে ইউপিডিএফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উজ্জল স্মৃতি চাকমার লেখা এক প্রবন্ধে আজ দৈনিক ইনকিলাবের মুক্তাঙ্গন বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধে উজ্জল চাকমা বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো এই, সন্তু লারমা ঐদিন ভূমি কমিশনের মিটিঙে যোগ দিতে রাঙ্গামাটি থেকে খাগড়াছড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে প্রথমে আটার মাইল ও পরে বেতছড়ি খামার পাড়া ও কালা পাহাড় নামক এলাকায় তার গাড়ির বহর ল্য করে জনতা ইটপাটকেল নিপে করে। এরপর মাইসছড়ি বাজারে শত শত জনতা তার গাড়ির বহরকে আটকায়। এ সময় জনতা তাকে সরকারের দালাল আখ্যায়িত করে “দু-অ দু-অ” ও “ধর ধর” ধ্বনি দেয় এবং ইটপাটকেল নিপে করে।
এ সময় সন্তু লারমার সাথে থাকা কয়েক ডজন অবৈধ অস্ত্রধারী যুবক জনতাকে ল্য করে গুলি চালায়। সন্তু লারমাকে নিরাপত্তা দিতে রাঙ্গামাটি থেকেই সাথে পুলিশের একটি দল ছিল। কাজেই যদি সন্তু লারমার জীবনের নিরাপত্তার প্রতি প্রকৃতই হুমকি দেখা দিত তাহলে পুলিশই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। কিন্তু পুলিশের সাথে সন্তু লারমার সন্ত্রাসীরা কিভাবে ঘুরে বেড়াতে পারে ও তাদের সামনে প্রতিবাদকারী জনতাকে ল্য করে গুলি চালাতে পারে সে প্রশ্ন হৈ চৈ এর আড়ালে ঢাকা পড়েছে।
আসলে ২৭ তারিখের সেদিনের ঘটনাকে কোন মতেই “হামলা” বলে আখ্যায়িত করা যায় না।
বরং তা ছিল সন্তু লারমার খুন ও অপহরণ রাজনীতির বিরুদ্ধে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। জনগণ সেদিন সন্তু লারমাকে ল্য করে শুধু ইটপাটকেল নিপে করেনি, তাকে সরকারের দালাল বলেও আখ্যায়িত করে “দু-অ দু-অ” ও “ধর ধর” ধ্বনি দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে এবং মাইসছড়ি ও চংড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে দালালীর প্রতীক “দুলা” (এক ধরনের বাঁশের ঝুড়ি) ও জুতা-স্যান্ডেল টাঙিয়ে রাখে। অথচ এ দিকটি পত্র পত্রিকার রিপোর্টে আদৌ স্থান দেয়া হয়নি। তাছাড়া সন্তু লারমার গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে ও তিনি আহত হয়েছেন বলে যে রটনা হয়েছে তাও সত্য নয়। তার সাথে থাকা চার দেহরী (আসলে সশস্ত্র সদস্য) আহত হওয়ার রিপোর্টেরও কোন ভিত্তি নেই।
সাংবাদিকরা সেদিন ছবি তোলার জন্য আহত কাউকে পাননি। সন্তু লারমা নিজেও বলেছেন তিনি আহত হননি। তবে এটা সত্য, ইট পাটকেলের আঘাতে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ের গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, জনতা তার গাড়িকে সন্তু লারমার গাড়ি মনে করে ঢিল ছুঁড়েছে। তিনি জনতার প্রতিবাদের ল্যবস্তু ছিলেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।