যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ঢাকার রাস্তায় এখন সামরিক মহড়ার মত মরণঘাতী বিলবোর্ড তাক করা থাকে। টহল পুলিশ বা আর্মির ট্যাংক, বন্দুকের ট্রিগারের পেছনে একজন সুস্থ্যমস্তিস্কের মানব ক্রিয়াশীল থাকে, ফলে হুট করে গুলি বের হবার সম্ভাবনা নাই। কিন্তু প্রতিটি বড় বড় মোড়ে কয়েকশ টন ওজনের লোহালক্কর সমেত বিশাল ভারী বিলবোর্ডগুলো যেভাবে নড়বড়ে ভাবে দন্ডয়মান থাকে - সেগুলোর মানুষ মারতে কারো আদেশের অপেক্ষা করতে হয় না। সামান্য মৌসুমী বায়ুতেই আছড়ে পড়ে চলমান যানবহান আর পথচারীর উপরে। সর্বশেষ গতকাল গুলশান-১ এ এমন বিলবোর্ড ধসে পড়ে কেড়ে নিয়েছে দুইজন মানুষের জীবনপ্রদীপ!
হস্তিসম বিশালকায় বিলবোর্ড-মারণাস্ত্রে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ঢাকা নগরী।
এ-সব যে ভীত ও কাঠামোতে স্থাপন করা হয় তা যে আশঙ্কাজনকভাবে অনুপযুক্ত সেটা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর এই বিশাল বিলবোর্ড অবকাঠামো স্থাপনের প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের কোনো বালাই নেই। ফলে যত্রতত্র একদম হাতুড়ে কারিগরীতে বিশাল বিশাল বিলবোর্ড স্থাপনা প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে এবং মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে সুউচ্চ প্রদর্শনীর মাধ্যমে জানান দিচ্ছে তার ভয়াল উপস্থিতির কথা। সামান্য মৌসুমী হাওয়ায় যখন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক-মোড়ে ধসে পড়েছে বিশাল এক বিলবোর্ড তবে আশঙ্কা করা যায় সামনের দিনগুলোতে অপেক্ষা করছে আরো ভয়ংকর কোনো সর্বনাশ। উপরন্তু ঝড়ঝঞ্ঝার প্রকোপ এখন পূর্বের তুলনায় অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘ কয়েকমাস ব্যাপী ঝড়-বাদলের ঋতু শুরু হতে যাচ্ছে অচিরেই।
ঢাকা শহরের সমস্ত সড়ক থেকে বিলবোর্ড অপসারণ করা এখন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। নইলে আরো এমন বিজ্ঞাপনী হত্যাকাণ্ড দেখতে হতে পারে শীঘ্রই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।