এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো একটি কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপন শুরু করে। বিজ্ঞাপনটিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে স্টেডিয়ামে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বাঘে পরিণত হতে দেখা যায়। ক্রিকেট বিশ্বে টাইগার বলতে আমাদের একটি পরিচয় আছে, এ পরিচয়টি পুরোনো এবং প্রতিষ্ঠিত। হয়তো তাই বাঘের সঙ্গে যুদ্ধে নামার আগে নিজেদের বাঘের পর্যায়ে আনার একট প্রয়াস ছিল।
বাংলাদেশ যখন আন র্জাতিক ক্রিকেটের অঙ্গনে আসে তখন থেকেই জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতীক ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইাগার এমনকি দলের জার্সি এবং হেলমেটেও বাঘের প্রতিক রয়েছে।
আর তাই 17 মার্চে ভারতের সঙ্গে খেলাটি ছিল অনেকাংশেই বাঘ হিসেবে বাংলাদেশের অস িত্বের প্রশ্ন। বাংলাদেশ সে জয়টা পেয়েছে। প্রথমবারের মতো যারা বাঘ সেজেছে বা সাজার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের বোঝানো গেছে বাংলাদেশের সত্যিকার পরিচয়।
এমন একটি সময় ছির যখন আমাদের 'বাঘ' পরিচয়টি নিয়ে অনেকেই, বিশেষ করে ভারতীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাদেশে একটি সিরিজ তার বারবার বিভিন্ন অজুহাতে পিছিয়ে দিয়েছেন।
তারা বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন বাঘ নয় আমরা এখনো বিড়ালের পর্যায়েই রয়ে গেছি। আর তাই মাঠের লড়াইয়ে প্রমাণ হয়েছে সত্যিকারের বাঘ কারা আর বিজ্ঞাপনী বাঘ কারা।
আমাদের এ বিজয়কে ভারতীয়রা আপসেট বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু এটা তারা ভুলে গেছেন এটা একটি ধারাবাহিকতার ফল। এরই মধ্যে আমরা ইংল্যান্ডের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি, বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যচে হাড়িয়েছি নিউজিল্যন্ডকে।
আর তাই ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের জয়টি ছিল অনেকটাই প্রত্যাশিত।
অপর দিকে ভারত প্রথম থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রপাগান্ডা চালিয়ে গেছে। বিশ্বকাপ কাভারেজের জন্য তাদের অনুষ্ঠান একস্ট্রা ইনিংসের সূচনা সঙ্গীত 'কাম প্লে'তে বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায় না। যে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ তাদের মাটিতে সিরিজ হাড়িয়ে এসেছে তাদের দেখা যায়, কেনিয়াকে দেখা যায় এমনকি আয়ারল্যান্ডকেও দেখা গেছে সে বিজ্ঞাপনে।
17 মার্চের সে খেলার আগের দিন ইএসপিএন-এ সুনীল গাভাস্কার বলেই বসলেন, ভরতকে রান রেট বাড়ানোর জন্য খেলতে হবে।
অর্থ্যাৎ আগে ব্যাটিং করলে 3 শতাধিক রান করে যতো দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশকে অল আউট করতে হবে। একইভাবে আগে বলিং পেলে দ্রুত বংলাদেশকে অলআউট করে 35-40 ওভারের মধ্যে সে রান করতে হবে। সম্ভব হলে আরো দ্রুত।
এক্সট্রা ইনিংস অনুষ্ঠানে মন্দিরা বেদী আর চারু শর্মার বক্তব্য শুনে আর আগত হাসি দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা জীবনে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট খেলছে। যখন দ্রাবিড় ব্যাটিং নিলেন তাদের ভবিষ্যতবানী ছিল ভারত 320+ রান করবে।
বিরতীর সময় যখন তারা আবারো আসলেন ততনে তাদের মুখ থেকে হাসি মুছে গেছে। তারপরও তাদের বিষেদাগার থামেনি। কম রানের জন্য তারা ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীনতার কথা বললেন কিন্তু বাংলাদেশী বোলারদের কথা এরিয়ে গেলেন। জয়ের ব্যাপরে তখনো তারা শতভাগ আশাবাদী। আর খেলা শেষ হওয়ার পর মন্দিার দিকে তো তাকানোই যাচ্ছিলো না।
বেচারা কান্ন আটকে রাখার জন্য যে প্রাণপন চেষ্টা করেছেন তা সঙ্ষ্টই বোঝা যাচ্ছিল। কোনো রকমে চারু শর্মা অুনষ্ঠান শেষ করেছেন। সূত্র: সাপ্তাহিক 2000
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।