আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইডেনে এসব কি হচ্ছে



নাশরাত চৌধুরী/ সোলায়মান তুষার: সরকারি ইডেন কলেজের ছাত্রীরা হঠাৎ কেন বিদ্রোহ করলেন? এর সন্ধান করতে গিয়ে পাওয়া গেছে নানা তথ্য। এই ছাত্রীরা বলেছেন, তারা নিঝুম ও তানিয়ার গ্রুপেরই রাজনীতি করতেন। তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতেই তারা বিদ্রোহ করেছে। শুক্রবার তারা বিক্ষোভ করলেও বেশ কিছুদিন আগেই তারা এ বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নির্যাতিত ছাত্রীরা আবেগাপ্লুত হয়ে বর্ণনা করেছে তাদের ওপর নির্যাতনের কথা। বিভিন্ন নেতার বাসায় পাঠানো ছাড়াও কলেজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজের জামা-কাপড় পরিষ্কার করা, শরীর ম্যাসাজ করাসহ তাদের দিয়ে সব ধরনের কাজ করাতো। ছাত্রীরা জানান, কেউ কথামতো কাজ না করলে বিভিন্ন অভিযোগ এনে হল থেকে বের করে দিতো। গ্রাম থেকে আসা প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের টার্গেট করতো নিঝুম ও তানিয়া। মেয়েদের সাজিয়ে বের হতো রাত ১০টার পর।

কখনও সিনেমা আবার কখনও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বের হতো নিঝুম ও তানিয়া। হলে ফিরতো সকাল ১০টার পর। এভাবেই চলছে নিত্যদিন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী শর্মিলা বলে, আমাকে সবসময় নির্যাতন করতো। আমি টাকা দিয়ে উঠতে পারিনি বলে নানাভাবে অপমান করতো।

আমাকে থাপ্পড় মারতো। চরিত্র নিয়ে কথা বলতো। আমার বিরম্নদ্ধে বেস্নম দিয়েছে আমি তার কথা ফাঁস করে দিয়েছি। এটা মিথ্যা বেস্নম। আমাকে নানাভাবে অফার করতো।

নেতাদের বাসায় যেতে বলতো। ফোন নম্বর দিতো, কথা বলতে বলতো। নেতাদের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে কথা বলতে বলতো। প্রথম বর্ষের মেয়েদের নিঝুম ও তানিয়া টার্গেট করতো। তাদের সাজগোজ করিয়ে নানা জায়গায় নিয়ে যেতো।

সিনেমা দেখার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতো। যারা তার কথা শুনতো না তাদের জুনিয়র কর্মীদের দিয়ে অপমান করাতো। আমি প্রতিনিয়ত ঘরে বসে বসে কেঁদেছি। আমাকে বলতো বিভিন্ন নেতার নম্বর নিয়ে হাই-হ্যালো করতে। আমি মাস্টার্সে পড়ি।

মেয়েদের রাত ১০টার পর বাইরে নিয়ে যেতো। সকালে আসতো। হয়তো আমাকে ব্যবহার করতে পারেনি। সবসময় টার্গেট নেয় প্রথম বর্ষের মেয়েদের। গ্রামের মেয়েরা কি বোঝে? তাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে।

মেয়েরা ভয়ে কথা বলতে পারছে না। বাংলা বিভাগের ছাত্রী রিনি বলে, নিঝুম-তানিয়া হল বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য করে। এমন কোন বাণিজ্য নেই যে তারা করেনি। প্রথম বর্ষের মেয়েরা তার নির্যাতনের ভয়ে কথা বলতো না। কেননা তারা গ্রাম থেকে এসেছে।

তাদের ঢাকায় যাওয়ার জায়গা নেই। ইতিহাস বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ইয়াসমিন বলে, কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনকে ভর্তি বাণিজ্যের ভাগ দিতো নিঝুম ও তানিয়া। এ বছরও ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। একই বর্ষের ছাত্রী স্বর্ণা বলে, নিঝুম প্রায় দিনই রাত ১০টায় হল থেকে বেরিয়ে যায়। তার সঙ্গে আরও মেয়ে থাকে।

অন্যদের বলে যায় কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবি আমি হলেই আছি। ছেলেদের নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। তার অনিয়মের বিরম্নদ্ধে প্রতিবাদ করলেই মারধর করে বের করে দেয়। অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রম্ননা বলে, নিঝুম-তানিয়া নিজেদের মতো সবাইকে বানাতে চায়। তাদের কথামতো না কাজ করলেই চলে নির্যাতন।

ইতিহাস বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ফারজানা বলে, কিছুদিন আগে শিবির অভিযোগ দিয়ে কয়েকজন ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে। আসলে তারা শিবির করতো না। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কথা না শোনায় তাদের বিরম্নদ্ধে ‘শিবির’ অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী লিজা বলে, তাদের কথা না শুনলে এমন কোন নির্যাতন নেই তারা করেনি। আমাকে প্রায়ই বিভিন্ন নেতার মোবাইল ফোন নম্বর ধরিয়ে দিয়ে কথা বলতে বলতো।

কথামতো কাজ না করলে হল থেকে বের করে দেয়াসহ নানা নির্যাতন চলে ছাত্রীদের ওপর। আরও যত অভিযোগ: পাঁচ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ হলেও এখনও জেসমিন শামীমা নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন তানিয়াসহ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এই কমিটির মেয়াদ তিন বছর আগে শেষ হলেও দোর্দণ্ড প্রতাপে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নানা রকম অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ প্রশাসনের যোগসাজশে লাখ লাখ টাকার ভর্তি বাণিজ্য করেছে দু’জনে। কলেজের অধ্যড়্গ অধ্যাপক মাহফুজা চৌধুরীকেও এসব বাণিজ্যের ভাগ দেয়া হয়-এমন অভিযোগ করেছে ছাত্রীরা।

আবার ভর্তির পর ছাত্রীদের হলে তুলতে ‘সিট বাণিজ্য’ করেছে বলেও সংগঠনের একাধিক নেত্রী জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম এ কলেজে ১৯৯৭-৯৮ সেশনে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হয়। তার ছাত্রত্ব ২০০৫ সালেই শেষ হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক তানিয়াও একই সেশনে মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। তারও পাঁচ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে।

ছাত্রীরা জানিয়েছে, তারা দু’জনেই বিবাহিত। ইডেনে ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হয়েছে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে। অর্থাৎ ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরেও দু’জনকে ছাত্রলীগের এই ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এই দু’জন তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই শাখার নেতৃত্বে আছে। তাদের কমিটির মেয়াদ ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে।

ওই কমিটি করার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাদের কোন কার্যক্রম না থাকলেও নির্বাচনের পর রাতারাতি নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম বেড়ে যায়। তারা দু’জনই অবৈধভাবে টাকা কামাতে গত বছর থেকে ভর্তি বাণিজ্য শুরু করে। ২০০৮-০৯ শিড়্গাবর্ষে ছাত্রলীগ ভর্তির জন্য কলেজ প্রশাসন থেকে ৯০০ সিট পায়। তখন সবাইকে মোটামুটি ভাগ দেয়া হয়েছিল। এবার এই দুই নেত্রী প্রায় ৭০০ ছাত্রীকে এককভাবে ভর্তি করিয়েছে।

ইডেনে পাঁচটি হল রয়েছে। প্রতিটি হলেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়ন্ত্রণে ১০টি করে রুম রয়েছে। এসব রুমের মধ্যে খাদিজা হলের ৩০৫, ৩০৩, ৩১৪, হাসিনা বেগম হলের ২০৩, ২১৪, ৩০৪, ৩১৪, ২১৫, আয়েশা সিদ্দিকা হলের ২০৬, ২১০, ৩১৩, ৪০৪, ৪১৯, জেবুন্নেসা হলের ২০৮, ২০২ এবং রাজিয়া সুলতানা হলের ১১০, ২১০, ২০৯, ৩০৮ নম্বর কড়্গ রয়েছে। এসব কড়্গে সিট বাণিজ্য করা হচ্ছে। প্রতিটি সিটে একজন ছাত্রী তোলার বিনিময়ে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা নেয়া হয়।

এবার প্রায় ৫০০ ছাত্রীকে সিটে তোলা হয়েছে। এখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রায় ৫০ লাখ টাকার সিট বাণিজ্য করেছেন। অর্থনীতি বিভাগের একজন ছাত্রী বলে, ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার সুপারিশ সত্ত্বেও তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে নিঝুম। এসব অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি নিঝুম বলেন, আমি এখনও ইডেনের নিয়মিত ছাত্রী। আমি ২০০০-০১ শিড়্গাবর্ষে ভর্তি হয়েছি।

যারা আমার ভাল চায় না তারাই আমার বিরম্নদ্ধে কথা বলছে। আমার আর তানিয়ার বিরম্নদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংগঠনবিরোধী কাজ করায় চারজনকে কেন্দ্রীয় কমিটি বহিষ্কার করেছে। আমাদের কোন দোষ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হতো। মাসিক আয় এক লাখ টাকার বেশি: একটি কলেজের সভাপতি হলেও নিঝুমের রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি।

ওই গাড়ি দিয়েই ছাত্রীদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় সে। নিজেও ঘোরাফেরা করে বেপরোয়া। আজিমপুরে তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রীরা। ইডেনের সামনের দোকান থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। এতদিন ইডেনে ডাইনিং ছিল।

কলেজ প্রশাসনই তার তদারক করতো। সমপ্রতি পাঁচটি হলেই করা হয়েছে ক্যান্টিন। এখন তা চলে ভাড়ায়। ছাত্রফ্রন্টের নেত্রীরা প্রতিবাদ করায় তাদের মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছে নিঝুম-তানিয়া গ্রম্নপ। হলে ছাত্রদলের নেত্রীরা না থাকায় নিঝুম-তানিয়া রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।

এড়্গেত্রে তাদের প্রত্যড়্গ ও পরোড়্গভাবে অধ্যাপক মাহফুজা চৌধুরী সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রীলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী চম্পা, হ্যাপি, শর্মী, কানিজ ও তাদের সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে সব প্রকার আন্দোলন থেকে না থাকলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। তার সহকর্মীদের বলা হয়েছে তারা যদি চম্পা, হ্যাপি, শর্মী, কানিজের সঙ্গে থাকে, তাদেরকে সমর্থন করে তাহলে তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হবে। আরও বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে যারা হলে সিট পেয়েছে। তাদের বাইরে যারা বিভাগীয় নিয়মে হলে সিট পেয়েছে, কিন্তু চম্পা-হ্যাপি-শর্মী গ্রুপকে সমর্থন করে, তাদেরকে হল থেকে বহিষ্কার করা হবে। হলের সুপারভাইজারদের দিয়েও ভয় দেখানো হচ্ছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

বহিষ্কৃতদের কোন কথাই শুনছেন না। এই তথ্য জানিয়েছেন ইডেনের সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রীরা। ছাত্রীলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি চম্পা খাতুন বলেছেন, আমরা ভয়ে আছি। আমাদেরকে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ। তিনি আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন।

তিনিই আমাদেরকে বহিষ্কার করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছে। আসলে আমাদের কথাগুলো প্রধানমন্ত্রী জানেন না। জানলে তিনি আমাদের পক্ষেই কথা বলতেন। আমরা যেসব তথ্য জানি আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী ওইসব কথা জানলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিতেন।

চম্পা বলেন, এক নেতা আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তেমন সাড়া পাইনি। আসলে আমরা কেন প্রতিবাদ করলাম এর নেপথ্যের কারণ কেউ দেখে না। প্রকৃত ঘটনা যখন বের হচ্ছিল তখন কিন্তু ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের থামিয়ে দেয়া হলে কলেজে অন্যায় আরও বাড়বে। আমরা নিঝুম-তানিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেছি বলেই আমাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা দুই কারণে- এক, অন্যদের অপকর্মগুলো চাপা দেয়া। দুই, যাদের বাণিজ্য রমরমা তা চাঙ্গা রাখা। আমরা যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি তা বন্ধ হয়ে গেলে অনেকেরই বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে।

আমরা তাদের কথা বলতে গিয়ে এমন সব নেতার নাম আসছিল যে তারা এই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমাদের সম্পর্কে উপর মহলে ভুল মেসেজ পাঠিয়েছে। আমরা জানি নিঝুম-তানিয়াদের আয়ের টাকার কারা ভাগ পায়। ওই নেতার নাম বললে আসল পরিচয় বের হয়ে আসবে এই আতঙ্কে রয়েছে তারা। সত্য বলার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নানাভাবে আমাদেরকে চাপের মুখে রাখা হয়েছে।

ভয় দেখানো হচ্ছে। গ্রেফতার করা হবে। উপর থেকে ওই রকম নির্দেশ দেয়া হয়েছে লালবাগ থানা থেকে জেনেছি। কলেজের প্রশাসনও আমাদেরকে চাপে রেখেছে। নিঝুম-তানিয়া ও তাদের গ্রুপের ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে হল থেকে আমাদেরকে বের করে দেয়া হবে।

আমাদের সঙ্গে যারা রয়েছে তাদের বলা হয়েছে ওরা বহিষ্কৃত হলে থাকতে পারবে না। তোমরা ওদের সঙ্গে থাকলে তোমাদেরকেও বহিষ্কার করা হবে। যারা কমিটিতে নেই বলা হচ্ছে হল থেকে বের করে দেয়া হবে। চম্পা বলেন, শনিবার রাতে নিঝুম-তানিয়া গ্রুপ রাজিয়া হল, জেবুন্নেসা হল ও পুরনো হলের দখল নিয়েছে। রাজিয়া হল থেকে আমাদের প্রায় ২০ জন মেয়েকে বের করে দিয়েছে।

ওদের রুমে তালা দিয়েছে। ওদের কোন জিনিসপত্রও বের করতে দিচ্ছে না। আমরা তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টি উপরে জানিয়েছি। উত্তরের সেক্রেটারি বলেছেন তোমরা ধৈর্য ধরো। ওদেরকে রাতের বেলায় হল থেকে বের হতে দেয়া যাবে না।

ওদেরকে তোমরা যেভাবে পারো শেল্টার দাও। আর ওদেরকে বিভিন্ন রুমে রাখার ব্যবস্থা করো। চম্পা বলেন, রাতের অন্ধকারে ওই মেয়েদের বের করে দিলে কি অবস্থা হতো ভেবে দেখুন। আমরা ওদেরকে বিভিন্ন রুমে রেখেছি। বহিষ্কৃত ছাত্রীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের সমর্থক ও অন্যায়ের প্রতিবাদকারী ছাত্রীদেরকে আরও বলা হচ্ছে- ওরা বহিষ্কৃৃত নেত্রী, ওরা কিছুই করতে পারবে না।

তোমরা ওদের সঙ্গে থাকলে বিপদে পড়বে। গ্রেপ্তার হতে পারো। সূত্র জানায়, বহিষ্কৃত নেত্রীরা গতকাল আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে দেখা করে সমাধান চেয়েছেন। ওই নেতা তাদেরকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। বলেছেন, এখন কোন আন্দোলন করতে গেলে বিপদে পড়বে সুত্র : মানব জমিন দৈনিক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.