ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকুন .....
বাআল-ছাত্রলীগ বাংলাদেশকে আরেকটি নতুন উচ্চতায় উপস্থাপন করেছে। দেশের জনগন আজ ক্ষোভে, দুঃখে, লজ্জায় স্তম্ভিত। চেতনাবাজ, প্রগতিবাজ, অসাম্প্রদায়িকবাজের ধ্বজাধারীরা লাম্পট্যের যে নজির স্থাপন করল তা ১৫ কোটি জনগনের ললাটে এক কলংক তিলক !! এমন লম্পট, চরিত্রহীনরাই আজ ১৫ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছে!! তারাই আমাদের জন্য আইন প্রনয়ন করবে, শিক্ষানীতি প্রনয়ন করবে, স্বরাষ্ট্র পররাস্ট্রনীতির নেতৃত্ব দেবে ... এটা কিভাবে মেনে নেব? আমরা এদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারি।
ইডেন কলেজ দেশের সেরা কলেজগুলোর অন্যতম। জানাকথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের অনেক জ্ঞানীগুনী মহিয়সী এখনো গর্ব করে বলেন আমরা ইডেনের ছাত্রী, কিন্তু সেই গর্বের বিদ্যানিকেতনটি কে বেশ্যানিকেতনে পরিনত করলো ছাত্রলীগ!! বিরোধি দলে থাকতে যুদ্বাংদেহী মহিলা আওয়ামিলীগের রাজপথ দখল নিয়ে পুলিশের সাথে লড়াকু লড়াই দেখে অবাক হয়ে ভাবতাম এরা কি নারী? নারী হলে কোন শ্রেনীর ? কেউ কেউ বলতেন নিষিদ্ব পাড়ার বাসিন্দা এরা।
স্বয়ং মতিয়া-সাজেদারা ক্যাড়স পায়ে ধ্বস্তাধস্তির প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে নামতেন আর তক্কে থাকতেন কখন পুলিশের গুঁতো লাগবে আর উনি রাজপথে শুয়ে পড়বেন। আজ বুঝতে পারি রাজপথে অফিসগামী লোককে দিগম্বর করতে ওদের এতটুকু লজ্জা হয়না কেন? বুঝতে পারি জাবি'র ধর্ষক মানিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হয় কি করে? কোথায় আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ, কোথায় আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন?
পত্রিকার রিপোর্ট মতে, বিভিন্ন তদ্বির সফল করতে নেতা, এমপি, মন্ত্রীদের কাছে জুনিয়র ছাত্রী কর্মী, নিরীহ ছাত্রীদের সরবরাহ যেতো উপঢৌকন হিসেবে। কমিটিতে স্থান পাওয়া, গুরুত্বপূর্ন পদ পাওয়ার জন্যে নেত্রীরা নিজেকে সঁপে দেন নেতাদের হাতে। অনেকে আবার নিজেকে ভোগ দিয়েও কাঙ্খিত পদ না পেয়ে সিনিয়রদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দেবার খবরও আসছে ধীরে ধীরে। নেতারা মনোরন্জিত হলে নেত্রী পেয়েও যান কাঙ্খিত পদ-পদবী।
নেত্রী থেকে সিনিয়র নেত্রী, কেন্দ্রীয় নেত্রী ... তারপর?? মতিয়া সাজেদার পড়ন্ত বেলা, নতুনরা পুরাতনদের স্থান নেবেন প্রকৃতির নিয়মে। তবে কি এই বেশ্যাবৃত্তির নেত্রীরাই এদেশের ভবিষ্যত হাসিনা, মতিয়া, সাজেদা উত্তসূরী? তবে তো আমাদের জন্য আরো ভয়াবহ পরিস্তিতি অপেক্ষা করছে; আজ হতে ১০/১৫ বছর পর সমকামিতা, লিভটুগেদার, ফ্রী সেক্স, টপলেস গোছের আন্দোলন হলেও হতে পারে এসব বেশ্যা এবং তাদের খদ্দেরদের নেতৃত্বে।
তবে আমাদের ভবিষ্যত কি?
রাবি'র ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী ইসলামি সংগঠনগুলোকে বিনা তদন্তে - বিনা প্রমানে দোষারোপ করে অত্যাচারের যে ষ্টীম রোলার চালানো হচ্ছে, তার থেকে বাদ যায়নি ইসলামি আদর্শের ছাত্রী সংগঠনের কর্মীরাও। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ইডেনের হল থেকেই পর্দানশীন, নামাজি ছাত্রীদের কে পুলিশ ডেকে অপমানজনকভাবে বের করে দেয়া হয়েছে। স্বয়ং কলেজ অধ্যক্ষ তাদের কে সরকারের বিরুদ্বে ষড়যন্ত্রকারী, জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত বলে গনমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছে।
আজ অধ্যক্ষা মাহফুজা চৌধুরীর কাছে বিনীত প্রশ্ন , কি অপরাধ ছিল ওই মেয়েগুলির? হলের নামাজ ঘরে মেয়েগুলো নামাজ পড়তো, কোরআন হাদিস নিয়ে আলোচনা করতো, রুমে ইসলামী সাহিত্য অধ্যায়ন করতো ... এটাই কি তাদের অপরাধ? (আজকাল ধর্মনিরেপেক্ষ, নাস্তিক তথাকথিত সুশীল সমাজ ও তাদের পোষ্যরা কোরআন হাদিস, ইসলামি সাহিত্যকে জিহাদি বই হিসেবে জোরে শোরে পরিচিতি দিচ্ছে) তাদের অপরাধ কি এটাই যে তারা আপনার বেশ্যালয়ের বেশ্যাপনা থেকে নিজেদের দুরে রেখেছিল? ভর্তিবানিজ্য, টেন্ড়ারবাজি, লম্পটদের মনোরন্জনের মত আপনাদের অসামাজিক কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল? ৯০ শতাংস মুসলিমের দেশে তারা ইসলামি অনুশাসন চর্চা করতো আর সাধারন ছাত্রীদেরকে তারা ইসলামের পথে আহবান করতো?
সরকার দেশব্যপী জামায়াত শিবিরের উপর রাস্ট্রিয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ছাত্রলীগ জামায়াত শিবিরের মিটিংয়ে হামলা চালিয়ে তাদের মার ধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে গোপন বৈঠকের অপবাদ দিয়ে। একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বৈঠক গোপন বৈঠক হবে কেন? আওয়ামিলীগ / ছাত্রলীগ ভালভাবেই জানে জামায়াত-শিবিরের বৈঠকে কি আলোচনা হয়, তারা কি ধরনের সাহিত্য অধ্যায়ন করে। তবে তাদের বৈঠক কে গোপন বৈঠক আর বহুল প্রচারিত ইসলামি বইগুলোকে জঙ্গী সাহিত্য বলার উদ্দেশ্য কি? দেশে কি আজ বেশ্যা নিয়ে ফুর্তি করা যাবে, কোরআন হাদিস চর্চা করা যাবেনা? টেন্ড়ারবাজি, সন্ত্রাস, খুন ধর্ষন সব করা যাবে কিন্তু ইসলাম ভিত্তিক রাজনীতি করা যাবেনা? কিন্তু কেন ?
কোন অঘটন ঘটলেই আওয়ামিগোষ্ঠি ও তাদের দালালরা ইসলামি জনতার বিরুদ্বে বিষেধাগার শুরু করে। রমনা বটমুল, উদিচী, ২১ শে অগাষ্ট, কিবরিয়া হত্যা, বিডিআর হত্যা ,,, কোথাও কি জামায়াত শিবির সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া গেছে? আচ্ছা, যদি শায়খ রহমান মির্জা আজমের ভগ্নিপতি না হয়ে বিএনপি জামায়াতের কারো আত্নীয় হতো? লেদার লিটন - তোরাব আলী যদি অন্য কোন দলের লোক হতো? ভাবতে পারেন কি প্রপাগান্ড়া চালাতো আওয়ামি দানব আর তাদের পোষ্য মিডিয়াগুলো?
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।