আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০০ এর ডাইরী পর্ব ৩



বলা যায় দিনগুলো খুব দ্রুতই কাটছে। পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে আসল। এদিকে কোচিং সেন্টারে যাবার ভয় কিছুটা কমে এসেছে। ছেলেটা চারদিন রিক্সা ডেকে দিয়েছে। এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করে: কেমন আছ? আমি ডান দিকে মাথাটা একটু ঝাকাই।

মানে ভাল আছি। এর বেশি কিছু না। আজ সকাল থেকে খুব খুশি খুশি লাগছে। কারণ আজ থেকে কোচিঙে যাবার ঝামেলা থাকবে না। মা আমার সাথে যেতে চাইল।

আমি মানা করলাম। সিঁড়ি দিয়ে নামব এমন সময় হোচট খেলাম। কোন কারণ নেই অথচ সমান একটা জায়গায় হোচট খেলাম। ধূর্............ কোচিং ক্লাস শেষ। ঘড়িতে দেখলাম ১২ টা দশ।

শীতের সময় এটাকে খাড়া দুপুর বললে ভুল হয় না। কোচিং সেন্টার থেকে বের হতে হতে দেরি হয়ে গেল। সাজেশান ফটোকপি করলাম। বান্ধবীরা একে একে চলে যাচ্ছে। আমিও একটা রিক্সা পেলাম।

আল্লা আল্লা করছি যেন শয়তানটার মুখে না পড়ি। এ কথা বলতে না বলতেই আমার হাতে কার যেন হাত পড়ল। তাকিয়েই দেখি শয়তানটা। আমি চমকে উঠলাম। আমাকে বলল, চল আজ তোমাকে খাওয়াব।

আজ থেকে তোমার কোচিং শেষ হয়ে যাচ্ছে। ওই চিপার ফাস্টফুডের দোকানে চল। লজ্জার কিছু নাই। আমি তো জানি তুমি কি চাও। চলো, আরে বাবা চলো" -- এই বলতে বলতে আমার বা হাত ধরে টানছে।

আমার যেন বিস্ফোরণ হল। খুব উঁচু স্বরে বলে ফেললাম "হাত ছাড়....."। আশেপাশে লোকজন চলে আসল। তারপর দেখি নিমিশে উধাও। এখন আমার মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি।

রিক্সার হুটের ভেতর যে গম গম আওয়াজ হয়, মনে হচ্ছে সে আওয়াজের মধ্যে আমি ভেসে আছি। আমার মাথার মধ্যে কথাগুলো রিপিট হচ্ছে "চল আজ তোমাকে খাওয়াব। চল আজ তোমাকে খাওয়াব...........হাত ছাড় .......হাত ছাড়........" (চলবে ৩) ৪ এর link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।