আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০০ এর ডাইরী পর্ব ৪



পরীক্ষা শুরু হয়ে এখন শেষের পথে। একে একে থিওরী সব শেষ। একটা ল্যাব বাঁকী শুধু। সব পরীক্ষাতেই মা'র সাথে আসা যাওয়া করছি। যে ছেলেটা ডিস্টার্ব করত, তাকে এর মাঝে আর দেখিনী।

নিশ্চিন্তে পরীক্ষাগুলো দিয়েছি। আজ কেন যেন খুব আনন্দ লাগছে। আনন্দে লাফাতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা পরীক্ষা তো প্রায় শেষ। কিন্তু আজকের পর আর কী করব? বান্ধবীরা সব গ্রামের বাড়ি যাবে।

একজন যাবে কক্সবাজার, ওর ভাই ভাবীর সাথে। পরীক্ষার চিন্তা কিছুক্ষণের জন্যে গায়েব হয়ে গেল। নিজেই জানি না কখন যেন পরিকণ্পনা করতে ব্যস্ত হয়ে গেছি। ঠিক করলাম আজ বিকেলে মাকে নিয়ে নিউ মার্কেটে যাব। নেলপালিশ কিনতে হবে।

নতুন একটা জামা বানাব। জামাতে নিজের হাতে ফূল তুলব। ফূলটা হবে নীল কালার, অপরাজিতার মত। সেই ফুল তোলা জামা পড়ে এডমিশন টেস্ট দিতে যাব। কাজটা শেষ করতে হবে তিন মাসের মধ্যে।

তিন মাসের মধ্যে শেষ করেত পারব তো? এই ভাবতে ভাবতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি চোখের নীচে কালি পড়েছে। অনেকদিন ফেসিয়াল করিনা। মুখ ব্রণে ভরে নক্সাদার হয়ে উঠেছে। আজ বুধবার, তাইলে শুক্রবার যেতে হবে। শুক্রবার সবিকছু বন্ধ থাকে, তাই রাস্তায় ভীড় কম হয়।

কিন্তু মা কি দেবে ৫০০ টাকা? ৫০০ টাকার নীচে তো ভাল ফেসিয়াল হয় না। কেন জানি হামনিশ্বাস বেরিয়ে এল। এদিকে মা'র গলা শুনতে পেলাম। নীচ থেকে ডাকছে। রিক্সা পেয়েছে।

আমি প্রাক্টিক্যাল খাতা নিয়ে পড়িমড়ি করে নীচে নামলাম। (চলবে ৪) ৫ এর link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।