জানলাম-'' যিনি বীর্যবান , গুনবান, চরিত্রবান , কান্তিমান , বিদ্বান , ধর্মজ্ঞ , কৃতজ্ঞ , সত্যবাদী , দৃঢ়ব্রত , প্রিয়দর্শন , ইন্দ্রিয়জয়ী , ক্রোধজয়ী , সর্বহিতকারী , পরোন্নতি-সহনশীল এবং লৌকিক ব্যবহারে দক্ষ - তিনিই আদর্শ পুরুষ । " অনেক দিন হলো অনেক দিন হলো তোমাকে বলা হয়নি গ্রীষ্মের দুপুরে হঠাৎ ছুয়ে যাওয়া এক চিলতে ঠান্ডা হাওয়া, টিপটিপ বর্ষায় সবুজ পাতার আড়ালে দেখা একগুচ্ছ কদম, অথবা বিকেলের শরত-আকাশে ভেসে যাওয়া টুকরো টুকরো মেঘের খেলা, নয়তো হেমন্তের সোনালি ফসল আর বসন্তের মিষ্টি রোদে ভরা রঙিন সকাল; তোমার নরম শীতল কন্ঠের উষ্ণতার কাছে সেই যে একদিন সবই তুচ্ছ আর বিবর্ণ হয়েছিল; সময়ের এত পথ শেষে আজও তারা আর হারানো সে আসন ফিরে পেলো না! অনেক অনেক দিন হয়ে যাবে তবুও, তোমাকে এর কিছুই আর বলা হবে না (অনেক দিন হলো, ডি মুন, ১৮/০৫/২০১৩, রাত ১২;২৯) অপেক্ষা ওহ ... প্রকাশ তুই! আমি ভাবলাম .... যতবারই মুঠোফোন বেজে ওঠে আমি ভাবি ... একবার দুইবার তিনবার... একদিন দুইদিন তিনদিন ... সপ্তাহ মাস বছর কেটে যায় ! আমি আর আমার মুঠোফোন তবুও প্রতিমূহুর্ত অপেক্ষাতে থাকি কারণটা যৌক্তিকতা শূন্য, কেননা ভালোবাসা আবেগের পাগলামি ! কে ....? সেলিম ... ওহ, আমি ভাবলাম ... না, আমি জানি তুমিও আমাকে ভীষণ ভালোবাসো কিন্তু তুমিও জানো ভালোবাসা আবেগের পাগলামি ; আমাদের মধ্যে তাই এক আকাশ অদৃশ্য দূরত্ব এখন ... অনন্ত সময় ধরে তা উপভোগ করে যেতে হয়, বিষন্নতায় আর অস্থিরতায় ! আমরা জানি সময় থেমে থাকে না তাই হয়তো জীবন অপেক্ষায় থাকে না কারো ; হয়তো ... তবুও প্রেম আমৃত্যু অপেক্ষা করে যায় আমাদের এই বিচিত্র হৃদয়ে - ভালোলাগা উচ্চারণ পুনরাবৃত্তির অসীম আকাঙ্খায় ; প্রেম- অপেক্ষা -ভালোবাসা কি অদ্ভুত, কি আশ্চর্য, কি অদম্য...! কে ..? ওহ ....তারেক! আমি ভাবলাম .... নাহ... কিছু না। ( অপেক্ষা, ডি মুন, ২৮/০৪/২০১৩, রাত ১২;৩৩) আমাদের এমনই প্রেম কোন এক গভীর রাতে, আকাশে পূর্ণ চাদেঁর দিকে জানালার ধারে; আমার ক্লান্ত দেহ থাকে পড়ে অন্ধকারে বিছানার উপরে, আর আমি ; বারবার শুধু তোমারেই করি মনে। হঠাৎ শীতল হাওয়া জানালায় দিয়ে যায় দোলা, তোমার জানালার ভিতর দিয়ে দখিনা বাতাসের সাথে মিশে, আমার নিশ্বাস যেয়ে ঢোকে তোমার নিশ্বাসে ; কোন এক গভীর রাতে, আকাশে পূর্ণ চাদেঁর দিকে জানালার ধারে; তোমারও ক্লান্ত দেহ থাকে পড়ে অন্ধকারে বিছানার উপরে, আর তুমি; বারবার শুধু আমারেই করো মনে। ( আমাদের এমনই প্রেম, ডি মুন, ১১/০৫/২০১৩, রাত ০২;৩২) এ শহরে কেউ বেচেঁ নেই এ শহরে কেউ বেঁচে নেই শুধু যন্ত্র আর যান্ত্রিক শব্দ, ধূলো আর গন্ধের এই বিষাক্ত আধুনিকতায় মানুষের মৃত্যু হয়ে গেছে, সকালের মৃত্যু হয়ে গেছে রাত্রির মৃত্যু হয়ে গেছে ; বিত্তশালী এই শহরে সকালের রাত্রির নির্জনতা মরে গেছে নিদারুণ ব্যস্ততার বিষে, যন্ত্রের সুর শুনে বিষন্নতার ভারে মরে গেছে দোয়েল, ঘুঘু, বক; শহরের এই ব্যস্ততা দেখে সব ফুল বিবর্ণ হয়ে ঝরে গেছে কংক্রিটের জানালার ধারে; অথবা ফুটপাতে একরাশ ধুলোর আঘাতে হয়েছে আমার হৃদয় নির্বাক; সন্ধ্যায় তোমার কর্মক্লান্ত শরীরও মরে গেছে যান্ত্রিকতায় চোখ রেখে ; অনিবার্য কামনার নিবৃতি শেষে সকালের কর্কশ সাইরেনে। অলস সময় এখানে মৃত অবসর দুষ্প্রাপ্য এখানে, নির্মল ভাবনারা এসে পীড়িত করে না কভু শহরের বড় বড় মানুষের মন, ভালবাসারও আগে স্বার্থ আর সম্পদ শিকার করে নিয়ে যায় এইসব লাশের হৃদয়। এতসব মৃত্যু দেখে যে আমি বিকেলের শেষ আলোতে তোমার হাত ছুয়ে মেঠো পথে হেটে যাবো বলে ভেবেছিলাম তারও মৃত্যু হলো- এই শহরে এসে নষ্ট সুখ দেখে দূষিত বাতাসে এ শহরে কেউ আর বেচেঁ নেই । ( এ শহরে কেউ বেচেঁ নেই, ডি মুন, ২৬/০৪/২০১৩, রাত ৯;৪১) বিদায় অনেক বিকেল অপব্যয় করে নির্জনে একা একা জলাশয়ের পাশে ঘাসের উপরে বসে দেখেছি গোধূলির রূপ মেখেছি সূর্যের রঙ শুনেছি রাত্রির গান ; যেখানে বাতাসে দুলে ওঠে বাবুই পাখির সংসার, দীর্ঘ তালগাছটার ছায়া ক্রমে মিলিয়ে গেছে যে অন্ধকারে আজ নয় সে বহুদিন আগে; অসহ্য লাগে আজ শহরের ভীড় এখানে আমিই শুধু একা সকলের মাঝে ; আমার কানেই বাজে যন্ত্রের নষ্টামি দিনে আর রাতে, অস্ফুটে গুমরে মরে হৃদয়ের স্বর কোথাও আসন না পেয়ে; আজ ভীষণ ক্লান্ত আমি ভীষণ একাকী আমি দুর্বল হৃদয় নিয়ে নগরের পথে; কোনদিন যেন আর না আসিতে হয় যাবার বেলায় তাই ভাবি মনে মনে, অচল মানুষ আমি কিবা বুঝি এই নগর আর সভ্যতার মানে ! গোধূলির কাছে তবু ঠিকানা গেলাম রেখে যদি কভু অবসর মেলে তুমি নিয়ো দেখে; চলে এসো একদিন নির্জনে একা একা নগরীর প্রলোভন ভুলে, দেখবো গোধূলির রূপ মাখবো সূর্যের রঙ শুনবো রাত্রির গান পাশাপাশি দুইজনে বসে; জলাশয়ের পাশে ঘাসের উপরে, আজ থেকে অনেক সন্ধ্যা পরে তোমার পথ চেয়ে ... আমার সুদীর্ঘ অপেক্ষার অবসানে । ( বিদায়, ডি মুন,২২/০৫/২০১৩, রাত ১২;৫০ )
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।