কবিতার ঘোর আমার ভেতর খুব বেশিক্ষণ থাকেনা। তাই কবিতা আসলে খুব দ্রুত লিখতে বসে যাই। লিখতে লিখতে ৪-৫ লাইন পর দেখি হাত দিয়ে কিছুতেই কিছু বেরুচ্ছেনা। মাঝে মাঝে জোড় করে লেখার চেষ্টা করতাম। খানিকটা লেখার পরই বুঝতাম আমি আসলে জলের মাঝে তেল মেশাচ্ছি!
এটা নিয়ে প্রথম প্রথম খুব অস্বস্তিতে থাকতাম।
আত্মদ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠতে আমার বেশিরভাগ সময়ই খুব বেশি বেগ পেতে হয়না। এটা কাটাতেও সময় বেশি লাগেনি। ফলাফল বেশিরভাগ কবিতাই আমার ৪-৫ লাইনের।
অণুকাব্য হিসেবে এগুলোকে দেখতে আমার ভালো লাগেনা। আমার ডায়েরীতে এদের প্রত্যেকের জন্যই আলাদা একটা করে পাতা বরাদ্দ থাকে এবং এরা দীর্ঘদেহী কবিতাদের সমমর্যাদা পায়।
'বিক্ষত ভালোবাসা, বিস্মৃত ভালোবাসা' ও 'আমন্ত্রণ' নামে এজাতী্য় দুটি কবিতা ব্লগে দিয়েছিলাম। দেয়ার পর মনে হল কষ্ট করে পোস্টে ঢুকে এটুকু লেখা পড়াটা একটু হয়ত আশাভঙ্গের মত লাগে। তাই ভেবেছি 'দমকা কবিতা' প্রচ্ছদ শিরোনামে একই সাথে কয়েকটি করে কবিতা পোস্ট করব। ভেতরে অবশ্যই এদের স্ব স্ব শিরোনাম থাকবে।
দমকা বাতাসের মত এদের আসা-যাওয়া।
আমার ভেতরে এদের রেখে যাওয়া অনুভূতিটাও দমকা বাতাসের মতই............
...................
....................
তীব্র, তীক্ষ্ণ!
(২টো দিয়ে শুরু হোক। ছাইপাশ বেশি ভেতরে ঢোকানো ভালো না! হা হা হা...............)
ত্রিকোণ আকাশ, চতুষ্কোণ প্রেম
নীল গীটার আর লাল কম্বল ।
ভীষণ শীতে জমে যাওয়া হাত ।
শীত ঘনীভূত করা কবিতার মত মহাউপন্যাস ।
উষ্ণ ভাবনায় আছড়ে পড়ে স্বপ্নপ্রপাত ।
তিনকোণা আকাশ, চারকোণা প্রেম..........
[১০-০৮-২০০৯]
তৃষ্ণা
সশব্দ বৃষ্টি
নিশ্চিত জানিয়ে দেয়- তুমি বেঁচে আছো।
রাতের বুকচেরা হিমেল খুনী
রক্তের তৃষা জাগায় আমার বুকে।
নীল রক্তের তৃষা................
[১৪-০৮-২০০৯]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।