.
.
.
.
শাহজাহান সাহেবের ছোট্ট মেয়ে নাহিয়ান এর সকাল থেকে হালকা জ্বর। তার নিজের এরকম জ্বর হলে নাপা জাতীয় ওষুধ খেয়ে জ্বর তাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আদরের মেয়ের জ্বর বলে কথা। তাকে তো আর এভাবে দায়সারা ভাবে ওষুধ খাওয়ানো যায়না। তাই নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তার দেখে-টেখে ওষুধ লিখে দিলেন।
কিন্তু তাতে একটা ছোট্ট সমস্যা ছিল। তা হল নাহিয়ান এখনো ওষুধ পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেনা। তাকে খাওয়াতে গেলে পানিটা ঠিকই খাওয়া হয় তার, কিন্তু দেখা যায় ওষুধটা মুখেই রয়ে গেছে। যতই খাওয়ানো হোক না কেন ওষুধটা গলার ভেতরে আর ঢোকানো যায়না।
এদিকে ওষুধ না খেলে তো আরও সমস্যা। ভদ্রলোক গেলেন উনার এক বন্ধুর কাছে বুদ্ধি চাইতে। উনার বন্ধু সব শুনে বলে যে,
“তোমার মেয়ে কি খেতে পছন্দ করে সবচেয়ে বেশি?”
“কি আর? মিস্টি। মানে রসগোল্লা আরকি। তাও আবার কামড়ে না, পারলে গিলে খায় এত প্রিয়!”
“ভালই তো।
তাহলে শোন, এক কাজ কর। মিস্টির ভেতর ওষুধ ঢুকিয়ে দিয়ে বাবু কে খেতে দিবি। ব্যাস! ওষুধ খাওয়াও হয়ে গেল, আর বাবু টেরও পাবে না! প্রবলেম সল্ভ্ড!”
বন্ধুর দেওয়া আইডিয়া খুবই পছন্দ হয় শাহজাহান সাহেবের। যথারীতি মিষ্টি কিনে এনে তাতে ওষুধ ঢুকিয়ে মেয়ের ঘরে রেখে দিয়ে অফিস চলে গেলেন। মেয়ে ঘুম থেকে উঠলেই খাবে।
ঘন্টাখানেক পর বাবুর খবর নিতে বাসায় ফোন করেন তিনি।
“আমার মামনি, কি খবর? তোমার জন্য মিস্টি এনেছিলাম খেয়েছ তো?”
“হ্যা খেয়েছি আব্বু। ”
“লক্ষী মেয়েটা আমার!”
“কিন্তু জান আব্বু, মিস্টি গুলোর ভেতর না বীচী ছিল, ওগুলো বেছে বেছে ফেলে দিয়ে খেয়েছি। ”
শাহজাহান সাহেবের মুখ হা হয়ে যায়। তার থতমত খাওয়া মনটায় শুধু একটাই চিন্তা আসে- এখনকার বাচ্চারা এত স্মার্ট কেন ? একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেই নেজেকে সান্তনা দেন তিনি।
কি আর করা? ওষুধ খাওয়াতে নতুন কিছু ভাবতে হবে এখন।
............
{আমার এক আপুর খুব আদরের ছোট্ট বোনটার একটু জ্বর। সবাই প্লিজ একটু দোয়া করে দিবেন তার জন্য }
....................................................................
(এক কৌতুক থেকে গল্পের আইডিয়া টা নেওয়া। অনেকেই হয়ত পড়েছেন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।