কুষ্টিয়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ২ মহিলা লিপি ও কনার রিমান্ড শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে দুজনকেই পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। হাকিম হাদীউজ্জামান সদর থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আরেকটি অস্ত্র মামলায় ১৬৪ ধারায় মিতার জবানবন্দি নেওয়া হয় এবং কণা চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পুলিশ বলছে, সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডের প্রথম দিনই লিপি ওরফে মিতা আমাদেরকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া দুই নারী চরমপন্থীর রিমান্ড চলছে। তারা ভারত থেকে অস্ত্র চালান ও কুষ্টিয়ার অপহরণ সন্ত্রাসের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে এসব তথ্য তদন্তের সার্থে গোপন রাখা হয়েছে। এসব তথ্য জানাতে অপরগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া লিপি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে ভারত থেকে কুষ্টিয়ায় এসেছিল। এবং তার স্বামী শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি শাহীন প্রতিপক্ষের হাতে গত ৯ ফেব্রুয়ারী নিহত হওয়ার পর আরো বে-পরোয়া হয়ে ওঠে লিপি।
কুষ্টিয়ারই আরেক সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থানকারী বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির এক নেতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়ার টেন্ডারবাজি, অস্ত্র ব্যবসা ও অপহরনের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায়ের নকসা তৈরী করতেই তিনি কুষ্টিয়ায় আসেন। এদিকে আরেকজন গ্রেপ্তার হওয়া নারী চরমপন্থী কনার ব্যাপারে পুলিশের দাবি, কণা চৌধুরী (৩২) পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় নারী সদস্য। তিনি ভারতে পালিয়ে থাকা কুষ্টিয়ার অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী বিপুল চৌধুরীর স্ত্রী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।