শানিত কর সংস্কৃতির চেতনায়
দেখুন
ঢাকা নিউজ 24 ডট কম, ঢাকা(১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১০)
যমুনা ফিউচার পার্ক ভাঙ্গার যে নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক) তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে করেছে এমনই অভিযোগ করেছে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল। যমুনা ফিউচার পার্কের যে অংশ ভাঙ্গার জন্য বলা হয়েছে তা মূল ভবনের অংশ নয়। অথচ রাজউক এটাকে মূল ভবনের অংশ বলে প্রচার করছে। যমুনা ফিউচার পার্কের বর্ধিত অংশ ভাঙ্গার পূর্বে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রাজউকের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, রাজউক আমাকে ভাঙ্গার নোটিশ দিয়েছে।
তারই প্রেক্ষিতে আমি আপিল করেছি। এ আপিলের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না যে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সে হিসেবে এখনো আইনি প্রক্রিয়া শুরুই হয়নি। অথচ তারা এরই মধ্যে কিছু অংশ ভেঙ্গেছে ও আগামী কাল বৃহষ্পতিবার আবার ভাঙ্গার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমি জানতে পেরেছি।
আজ বুধবার বিকাল ৫টায় যমুনা ফিউচার পার্কের নবম তলায় যমুনা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, রাজউক বিভিন্ন সংস্থাকে জানিয়েছে, তারা নাকি আবার যমুনা ফিউচার পার্ক ভাঙতে আসবে অথচ আমি এ প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া সত্ত্বেও তারা এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি। তিনি বলেন, আপিলের জবাব না দিয়ে রাজউক কেন যে এটা ভাঙ্গতে উঠে পড়ে লেগেছে তা বুঝতে পারিনা। এটা না ভাঙ্গলে দেশের এমন কি ক্ষতি হয়ে যেত তাও স্পষ্ট নয়। যমুনা ফিউচার পার্কের ষষ্ঠ তলার উপরের চারটি বর্ধিত তলা ভেঙ্গে ফেলার জন্য রাজউক যে নোটিশ দিয়েছে সেটিকেও অবৈধ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে তাদের উচিত ছিল আমাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া।
তিনি জানান যমুনা ফিউচার পার্কের বর্ধিত অংশ অননুমোদিত হলেও এটা আইনগত ভাবে করা যেতে পারে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আইনগত ভাবে কোনো স্থাপনা করার জন্য রাজউক যে প্লান পাম করে তা তিন বছরের মধ্যে রিভাইস প্লান করা যায়। তবে এর জন্য আবেদন করার কথা। সে অনুযায়ী আমরা আবেদন একটু দেরীতে করতে গিয়ে এ বিপত্তি বেধেছে। তবে জনস্বার্থ বিরোধী না হলে এ স্থাপনা ভাঙ্গা যায়না। কিন্তু অতি উত্সাহী হয়ে কর্তৃপক্ষ এটাকে ভাঙ্গার জন্য লেগেছে।
কেনো তারা এটা করছে তা আমার বোধগম্য নয়। এরপরও তারা যদি ভাঙ্গতেই চায় তাতে প্রয়োজনে আমিও সহায়তা করব কিন্তু সেটা তো আইন অনুযায়ী হতে হবে। একই সাথে তিনি অভিযোগ করেন, এটা ভাঙ্গলে নিচের তলার ক্ষতি হবে সে ক্ষতিপূরণ কে দেবে।
দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকারী এই স্থাপনাটিকে ন্যাশনাল এসেট বা জাতীয় সম্পদ দাবি করে তিনি বলেন, এটা রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব এখন সকলের।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক ড. আলমগীর হোসেন, এবং যমুনা ফিউচার পার্কের প্রিন্সিপাল কনসালটেন্ট এসএম আলমগীর।
ঢাকা নিউজ 24 ডট কম/এআর/আরআইপি.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।