মাদারীপুরের পুরানবাজারের পতিতাপল্লীতে গতকাল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসিরুল ইসলাম, এএসপি সার্কেল আবুবকর সিদ্দিক, সদর থানার ওসি মুনিরুল ইসলামসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ইছলাহে কওমি পরিষদ নামের একটি সংগঠন পতিতাপল্লী উচ্ছেদ ও তাদের পুনর্বাসনের জন্য আন্দোলন করে আসছিল। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ইসলাহে কওমি পরিষদ ও পতিতাপল্লীর নেত্রীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়। এ ছাড়াও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গেও উভয়পক্ষ বৈঠক করে। কোনো সুরাহা না হওয়ায় গতকাল দুপুরে মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বাবু চৌধুরী ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন ভুঁইয়াসহ স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে পতিতালয় নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা হামলা চালায়। এতে পুরান বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পতিতালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নারী সংগঠনের সভানেত্রী মমতা জানান, কোনো নোটিস না দিয়ে উচ্ছেদের জন্য অতর্কিতে হামলা চালিয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। এখানে আমাদের নিজেদের সম্পত্তি রয়েছে। ইছলাহে কওমের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আহম্মদ জানান, পতিতাপল্লী উচ্ছেদ ও পতিতাদের পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। পতিতাপল্লীর সদস্যদের নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার জন্য ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তারা সকালে নোটিস দিতে গেলে পতিতারা হামলা চালায়। এ ঘটনা শোনার পর এলাকাবাসী পাল্টা হামলা চালায়। পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সদর থানার ওসি, সার্কেল এসপি, এডিশনাল এসপি আহত হয়েছেন। ১০/১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।