নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ নামে এক বিএনপি নেতা। এ ছাড়া ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গোলাম সরোয়ার নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন বাবলু মিয়া নামে এক যুবক।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ গতকাল ভোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, তৌহিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় ভোর ৪টার দিকে আমিশাপাড়া ইউনিয়নের মেদিপুর গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় তৌহিদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে জবাবে পুলিশও শটগান থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তৌহিদকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে তৌহিদের বাড়ি থেকে একটি কাটা বন্দুক, এক রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও পাঁচ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তৌহিদ সোনাইমুড়ী থানায় পুলিশের তিন নম্বর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বলে জানান এসপি। তাকে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর বুধবার রাতে নোয়াখালী নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে নিহত তৌহিদের ভাই কামালের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো মতামত জানা যায়নি। ফেনী প্রতিনিধি জানান, ফেনীতে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গোলাম সরোয়ার নামের যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকালে ফেনী সদর উপজেলার সূর্যছড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম সরোয়ার ফাজিলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি। তিনি ফাজিলপুরের আলী নগরের নুরুল হকের ছেলে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করতে গেলে সরোয়ার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পুলিশের ওপর গুলি ও বোমা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্দরক্ষার্থে গুলি চালালে তিনি নিহত হন। ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল হক জানান, সরোয়ার জেলার তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ প্রায় ২৪ থেকে ২৫টি মামলা রয়েছে। নিহত সরোয়ারের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে বাবলু মিয়া (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বাঐতারা গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের ছেলে। নিহত বাবলু আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি ছিলেন। রাত ২টার দিকে শহরের হোসেনপুর মোল্লাবাড়ি-সংলগ্ন নদীর বালুর বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাব ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি শটগান, ২টি চাপাতি, ২টি ধারালো ছুরি, ৪টি ককটেল ও ৪ জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করে। সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২'র কোম্পানি কমান্ডার এএসপি অশোক কুমার পাল জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে শহরের হোসেনপুর মোল্লাবাড়ি-সংলগ্ন যমুনা নদীর বালুর বাঁধ এলাকায় ৭-৮ জন দুষ্কৃতকারী নাশকতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের তিনটি টিম চারদিক থেকে ওই দুষ্কৃতকারীদের ঘিরে ফেলে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৃষ্কৃতকারীরা র্যাবের ওপর গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ক্রসফায়ারে বাবলুর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে উলি্লখিত অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার করা হয়। সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত বাবলু ওই আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি। এ ছাড়াও তার নামে সিরাজগঞ্জ সদর ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগে আরও ৩-৪টি মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ থানা হেফাজতে রয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, রাতেই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।