বরিশাল নগরী ও দুটি উপজেলার পাঁচ স্থানে চলছে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর। এর মধ্যে দুটি স্থানে জুয়ার পাশাপাশি যাত্রার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। মাসের পর মাস এ অবস্থা চলায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেড়েছে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ জুয়া ও নগ্ন নৃত্য প্রদর্শনীর আয়োজক। আর জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অঙ্কের মাসহারা দেওয়ায় তারাও এসব নিয়ে নিশ্চুপ। বরিশালের জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু ইউসুফ মো. রেজাউর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে এসব উন্মুক্ত জুয়া ও নগ্ননৃত্য প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার উজিরপুরের বরাকোঠায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক বালীর উদ্যোগে চলছে প্রকাশ্যে জুয়া ও নগ্ননৃত্যের প্রদর্শনী। শফিক বালী হাইকোর্টের আদেশে নিপুণ (জুয়া) খেলার অনুমতি আছে বলে দাবি করেছেন। তবে উজিরপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, হাইকোর্টের আদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের হয়রানি না করার জন্য বলা হয়েছে। আদেশে জুয়া খেলার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। জুয়া খেলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর পুব পাশের ঢালে রামপট্টিতে একইভাবে যাত্রার আড়ালে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী ও জুয়ার আসর বসাচ্ছেন সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান। এ ছাড়া সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার উলালবাটনা, নগরীর সীমান্তবর্তী গড়িয়ারপাড় ও কাশীপুর পোস্ট অফিস এলাকায় হাইকোর্টের দোহাই দিয়ে জুয়া চলছে।
হাউজি, ওয়ান টেন, চক্রা, বউট্টাসহ সব ধরনের জুয়া খেলার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। এসব জুয়ার মাঠে রাতভর লাখ লাখ টাকা লেনদেন ও মাদকের ব্যবসা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েক নেতার ছত্রছায়ায় এসব অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে। এতে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে।
উজিরপুরের বরাকোঠায় যাত্রার নামে নগ্ননৃত্য ও জুয়া খেলার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল জানান, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালতের দোহাই দিয়ে এসব কর্মকাণ্ড চলায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, দেশের সংবিধান অনুসারে সব ধরনের জুয়া অবৈধ। সুতরাং হাইকোর্ট কেন, কোনো কোর্টই জুয়ার অনুমতি দিতে পারেন না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।