চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৬৬ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ নিয়ে একাধিকবার চিঠি ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও কাজ হয়নি। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তহবিল ঘাটতি ও নানা কারণ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের বকেয়া পরিশোধ করছে না। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে রেলের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক। জানা যায়, ১৯৯১ থেকে এ পর্যন্ত রেলের কাছে হোল্ডিং ট্যাঙ্ বাবদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাওনা ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে এসব পাওনা আদায়ে চসিক বিভিন্ন সময়ে চিঠি দিলেও নানা অজুহাতে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে গড়িমসি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত জুন মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ২০০৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত বকেয়া মওকুফ এবং ওই বছরের জুলাই থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতেও কোনো সুরাহা হয়নি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক বলেন, বকেয়া আদায়ে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোনো সাড়া না পেয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠক করার পরও বকেয়া পরিশোধে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না রেলওয়ের। তিনি বলেন, ফান্ড ঘাটতিসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর বকেয়া পরিশোধ করছে না। তবে আগামী সপ্তাহেই রেলের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছে। রেলওয়ে পূর্ব অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক তাফাজ্জল হোসেন বলেন, তহবিল না পাওয়ায় এই পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।