দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত সিমেন্ট শিল্প। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে কাজে না লাগিয়ে কিছু সিমেন্ট কোম্পানি অসামঞ্জস্য কর্মকাণ্ড বিশেষ করে নীতি বিবর্জিত বিপণন নীতি শুরু করেছে। অসুস্থ এ প্রতিযোগিতা এ খাতের সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে তুলছে। গত সোমবার সিমেন্ট প্রস্তুতকারকদের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) প্রেসিডেন্ট ও মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় গুলশান ক্লাবে। দেশের শীর্ষ সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিমেন্ট শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে একটি সমন্বিত মার্কেটিং পলিসি বা বিপণন নীতি গ্রহণ করার তাগিত দেওয়া হয়। সভায় ধারণা দেওয়া হয়, সারা বিশ্বে বড় বড় সড়ক ও মহাসড়ক তৈরিতে সিমেন্টের ব্যবহার করা হয়।
এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিমেন্ট ব্যবহার করা সড়ক টেকসই ও খরচও কম। কিন্তু বাংলাদেশে সড়ক ও মহাসড়ক তৈরিতে এখনো সিমেন্টের ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সিমেন্ট কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও তাগিদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, উৎপাদনশীল খাতগুলোতে সরকার ট্যাঙ্রে ক্ষেত্রে রেয়াদ দেয়। কিন্তু সিমেন্ট খাত তেমন সুবিধা পায় না বরং এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে আগেই পাঁচ শতাংশ এআইটি (অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাঙ্) দিতে হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ কারণে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকার এ সমস্যা (এআইটি) তুলে নিলে দেশের প্রচলিত দামের চেয়ে আরও কম দামে সিমেন্ট বাজারজাত করা সম্ভব হতো। বিজ্ঞপ্তি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।