ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ১২ (বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকম) ২৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে জাতীয় আয়ের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বিনিয়োগে আগ্রাহী সরকার।
শুক্রবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন।
কীভাবে এটি করা হবে তা বিস্তারিত না বললেও সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে এ বিনিয়োগ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, "বর্তমানে আমাদের জাতীয় আয় প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা। এর মাত্র ২৩ শতাংশ বিনিয়োগ হয়।
এটা বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ করতে হবে।
"কিন্তু সরকারের হাতে এতো অর্থ নেই। তাই এটা করতে হলে পিপিপি'র মাধ্যমে করতে হবে। "
রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে 'পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ইন এগ্রিকালচার: এ নিউ ওয়ে ফরওয়ার্ড' শীর্ষক সেমনিারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী সরকারের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, "জাতীয় আয়ের ১৬ শতাংশ আমাদের হাতে আসে এবং এটা আমরা ব্যয় করি।
২০০১৩-১৪ সালের মধ্যে জাতীয় আয়ের ২০ শতাংশ ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। "
কৃষিতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে (বিএডিসি) দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, "অন্যান্য ক্ষেত্রে পিপিপির জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করছে। আমি পরামর্শ দেবো কৃষির ক্ষেত্রে বিএডিসি এ দায়িত্ব নিক। বিএডিসি সেচ, সার ও বীজ নিয়ে কাজ করছে।
পাশাপাশি তারা কৃষিতে পিপিপি প্রকল্প উদ্ভাবন করার বিষয়েও কাজ করবে। "
চলতি অর্থবছরের বাজেটে পিপিপির জন্য ২৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। পিপিপির আওতায় ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এটি সমন্বয় করছে সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠান।
এগুলো হলো�ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এন্ড ফাইনান্সিং ফ্যাসিলিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিয়েশন সেন্টার।
২৭টি প্রকল্পের মধ্যে কৃষি ভিত্তিক কোনও প্রকল্প নেই।
চলতি অর্থবছরে কৃষিতে পিপিপি হচ্ছে না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, "এ বছরে হয়তো হবে না। আগামী অর্থবছরে হয়তো সফল হবো। "
পিপিপি'র মাধ্যমে শস্যবীমা, নতুন হাটবাজার সৃষ্টিসহ নানা ধরণের প্রকল্প হতে পারে বলেও জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।