কিছু মুভি হয় যাকে আমরা খুব অসাধারণ বলবো না কিন্তু কেন জানি মাঝে মাঝে কিছু দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে । পলকেই মনে হয়, দারুন তো! সেরকমই একটি মুভি “Paa” । এ মুভির মাধ্যমেই পুনরায় প্রমাণিত হলো শতাব্দীর সেরা অভিনেতাকে কোনভাবেই তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না। আমার দেখা Amitabh Bachchan এর সেরা অভিনয় এটি।
কাহিনী জানা যাক।
জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ এবং এম.পি. Amol Arte (Abhishek Bachchan) আসেন এক স্কুলের Project Fair এ । চমৎকার সব Project এর মাঝে তার চোখ পরে যায় একটি সাদা Globe এর দিকে। কে বানালো এ অদ্ভুত বস্তুটি। কোন শিশুর এত সুন্দর একটি পৃথিবী যেখানে নেই কোন বিভেদ?? সব কিছু এক হয়ে একটি সাদা পৃথিবী। প্রথম পুরস্কার এটাকেই দেয়া হয়।
কে বানিয়েছে এটি?? ভেসে আসে এক নাম, Auro (Amitabh Bachchan)।
কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ সে Progeria নামক এক রোগে আক্রান্ত। যে রোগের কারণে তার দৈহিক বয়স ৫-৬ গুণ দ্রুততার সাথে বাড়ছে। ১২ বছরের এক শিশু যেন ৭০ বছরের বুড়ো। কিন্তু Auro কোন বুড়ো ভাম নয়।
সে যেন রবীন্দ্রনাথের ছুটির “ফটিক”। যাকে বলে “পাকনা পোলা”। সব ধরণের দুষ্টুমি ও বন্ধুদের সাথে উঠবস যেন সবই একেবারে সাধারণ। সে থাকে তার মা Vidya (Vidya Balan) এর সাথে । কিন্তু Amol এবং Auro যে রক্তের সম্পর্কে বাধা।
কারণ Auro , Amol এরই ছেলে। কিভাবে সেটা সম্ভব হলো?? কিভাবে তাদের মধ্যে ভাব হলো সেটাই জানার জন্য দেখতে হবে মুভিটি।
অনেকেই হয়তো মুভিটি The Curious Case of Benjamin Button এর অনুকরণ মনে করেছেন। যেটা সম্পূর্ণরূপে ভুল। Auro চরিত্রের মতো কঠিন চরিত্র হয়তো হয় না যেটাকে Amitabh Bachchan একে সহজেই করে ফেলেছেন।
Auro ‘র প্রত্যেকটি দৃশ্য তালি মারার উপযোগী। Amitabh এর অভিনয়কে অসাধারণ বললে কম বলা হয়। Vidya Balan অনেকদিন পর একটি সুন্দর চরিত্র পেয়েছেন। মুভিটিতে Paa হচ্ছে Abhishek কিন্তু বলতেই হবে যে তার গুরুত্ব বেশ কম। R. Balki ‘র পরিচালনা নিঃসন্দেহে দারুন তবে কিছু ক্ষেত্রে চিত্রনাট্য বেশ দুর্বল।
বলতে গেলে Amitabh হীন বেশির ভাগ দৃশ্যই বেশ নিচু মানের। তবে Auro চরিত্রটিকে তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ দিতেই হয়। শেষ দৃশ্যে আমি নিজেই চোখের পানি আটকাতে পারিনি। সংগীত বেশ ভালো তবে Amitabh এর কন্ঠে “Mere Paa” গানটি শুনে চমৎকৃত হয়েছি। সত্যি অসাধারণ।
তবে অহেতুক কিছু দৃশ্য যেমন Abhishek এর একটি Media Show এর দৃশ্যটি ছিল বস্তাপচা । তবে Amitabh এর অভিনয় দেখে Brad Pitt এর আক্ষেপ বাড়বে এবং বুঝতে পারবে যে কেন “ The Curious Case … “ এর জন্য Oscar টা পেলাম না। সব মিলিয়ে সবাইকে মুভিটি অন্ততঃ একবার দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
রেটিং – ৩/৫
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।