আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাইমস অব ইন্ডিয়ার নিবন্ধে যা বলা হয়েছে



টাইমস অব ইন্ডিয়ায় গতকাল স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক ভাস্কর রায় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভারতকে দেয়া ট্রানজিট শুধু পণ্য পরিবহনেই নয়, দরকার হলে উলফা দমনে কাজে লাগানো হবে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে আসামে ঢুকবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া ভারতের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা। এই পত্রিকাটি গতকাল “ফ্রেন্ডস অ্যান্ড নেবারস” শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। এর লেখক ভাস্কর রায়।

তিনি মূলত বিএনপি-জামায়াত জোটকে আক্রমণ করেন। আর এটা করতে গিয়েই তিনি ওই ইঙ্গিত দেন। যৌথ ইশতেহারের ১৪ দফায় ‘ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড কানেকটিভিটি’-র ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। ২৪ নম্বর দফায় কানেকটিভিটি শব্দটির মানে করা হয়েছে, একটি স্থানের সঙ্গে অন্য একটি স্থানের যোগাযোগ। আখাউড়া-আগরতলা রেল যোগাযোগ ভারতের অনুদানে (গ্র্যান্টস) তৈরি হবে।

দু’দেশের রেল কর্মকর্তাদের একটি যৌথ দল কোন পয়েন্ট থেকে কোন পয়েন্টে আসবে তা ঠিক করবে। এ প্রসঙ্গে কানেকটিভিটি শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ৩১ দফায় কানেকটিভিটি ব্যবহার করা হয়েছে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে। সুতরাং কানেকটিভিটি শব্দটি ট্রানজিটের চেয়ে ব্যাপকতর অর্থে এসেছে। কানেকটিভিটি প্রশ্নে নির্দিষ্টভাবে পণ্য পরিবহনের কথা বলা নেই।

বিশ্লেষকরা বলেন, এর আগে ট্রানজিট প্রশ্নে দু’দেশের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হয়েছে তাতে নির্দিষ্টভাবে গুডস বা পণ্য চলাচলের কথা এসেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ভারতের মনোভাবটি তুলে ধরতে ভাস্কর রায় উল্লেখ করেন যে, ‘বিএনপি ও জামায়াতের বেশির ভাগ বিরোধিতা অদ্ভুত। বিএনপি নেতা ও জাহাজ ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছেন, তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের প্রতিশ্রুত এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেশে শুধুই দুর্নীতি বাড়াবে। এবং চট্টগ্রাম বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেয়ার ফলে জেলাটি বাংলাদেশ থেকে ভাগ হয়ে যাবে। উলফার জন্য দশ ট্রাক বোঝাই অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে চৌধুরী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মজার বিষয় হলো- বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে যেতে দিতে বিএনপি কঠোরভাবে বিরোধিতা করছে। এর কারণটা খুবই সোজাসাপ্টা। তারা চায়, উত্তর-পূর্ব ভারতে বিশেষ করে আসামে কোন বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়লে ভারতের সৈন্যরা যাতে দ্রুত সেখানে যেতে না পারে তা তারা প্রতিহত করতে চায়। ’’ (Much of the BNP-JEI opposition is outlandish. Senior BNP leader and shipping magnate, Salauddin Qader Choudhury, who collaborated with the Pakistani army in 1971, alleged that the $1 billion credit line offered by India would only increase corruption in the country, and that Indian access to Chittagong port could result in the breaking away of the district from Bangladesh. There are allegations that Choudhury was involved in the smuggling of 10 truckloads of arms meant for the ULFA in north-east India. Interestingly, the BNP has stubbornly opposed giving India access to its north-east through Bangladesh. The reason was quite straightforward. It wants to prevent quick access of Indian troops to the north-east, especially Assam, in case of an insurgent upheaval.) উল্লেখ্য, টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওই নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাতে বলা হয়, বাংলাদেশে ভারত বিরোধী শক্তি রয়েছে। তবে ভারত যদি ভাল পদক্ষেপ নেয় আর জনগণ যদি তার সুফল পায় তাহলে এটা সমস্যা নয়।

সে কারণে ভারতের উচিত হবে তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ইত্যাদি সমস্যার সুরাহা করা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.