মঙ্গলবার হামলার জন্য খুব দ্রুত প্রস্তুতি নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশ পেলেই মধ্যপ্রাচ্যে ও আশপাশে মোতায়েন মার্কিন বাহিনী “হামলা শুরু করবে”।
হামলা শুরু হলে তা হবে সিরিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সবচেয়ে আক্রমণাত্মক অভিযান।
গত সপ্তাহের বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে শিগগিরই একটি সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে সিরিয়ার বিরোধীদলকে জানিয়েছেন পশ্চিমা কূটনীতিকরা।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিদ্রোহীদের সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশনের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের একথা জানানো হয়।
সিরিয়ায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে মিত্রদের সমর্থন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি যুক্তরাজ্য ও কানাডার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
অপরদিকে বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে গ্যাস হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করার কাজে ব্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এই প্রতিবেদনে গ্যাস হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ী করা হবে।
সিরিয়ার সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা দাবি করেছে, ভোররাতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর চালানো এ গ্যাস হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেছেন, এ ধরনের বড় রাসায়নিক গ্যাস হামলা আসাদ বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ চালিয়েছে তা ভাবা “স্থুলকল্পনা” হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনাদের এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “কোনো সন্দেহ নেই সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের এই ঘৃণ্য ব্যবহারের জন্য দায়ী সিরিয়া সরকার। ”
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিষয়ে ওবামা এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র কার্নি। তবে সিদ্ধান্ত যে সামরিক পদক্ষেপই হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে তেমন সন্দেহ নেই বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার উদ্দেশ্য “সরকার পরিবর্তন” হবে না জানিয়ে হামলা সীমিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার জন্য আসাদ সরকারকে দায়ী করেছে আরব লিগ ও পশ্চিমা শক্তিগুলো, কিন্তু অপর দুই বিশ্বশক্তি রাশিয়া ও চীন তাদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।