শনিবার সাপ্তাহিক রেডিও ও ইন্টারনেট ভাষণে ওবামা বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনো রাসায়নিক অস্ত্র হামলা ঠেকাতে সিরিয়ায় সীমিত আকারে সামরিক অভিযান চালানো প্রয়োজন। তবে আরেকটি ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা তার নেই।
“এটা আরেকটি ইরাক বা আফগানিস্তান হবে না। ”
সিরিয়ায় হামলা চালানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আগামী মঙ্গলবার আবারো জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ওবামা বলেন, “আমরা যে ব্যবস্থাই নিই না কেন সময় ও পরিসরের ক্ষেত্রে তা হবে সংক্ষিপ্ত।
সিরীয় সরকার যাতে নিজের জনগণের ওপর আবারো গ্যাস হামলা চালাতে না পারে সেজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ”
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগতদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলা চালানোর অভিযোগ এনে এক সপ্তাহ আগেই সেখানে সীমিত আকারে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা জানান ওবামা।
অবশ্য এজন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নেবেন বলে সে সময় জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে মধ্যপ্রাচ্যে ফের কোনো যুদ্ধে জড়ানোর বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ জনগণ। আর জনমতকে গুরুত্ব দিয়েই সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর বিষয়ে ততোটা আগ্রহী নন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যরা।
রয়টার্স/ইপসোসের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৬ শতাংশ নাগরিক সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর বিপক্ষে, যেখানে মাত্র ১৯ শতাংশ সেখানে হামলা চালানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
ওবামা তার ভাষণে বলেন, “আমি জানি এক দশকের যুদ্ধের পর আমেরিকার জনগণ ক্লান্ত, যদিও ইরাকে যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং আফগানিস্তানে তা শেষ হওয়ার পথে। সে কারণে আমরা আমাদের সৈন্যদের অন্য কোনো যুদ্ধের মাঝে নামিয়ে দিচ্ছি না। "
ওবামা বলেন, গত ২১ অগাস্ট সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় কয়েকশ শিশুসহ এক হাজার চারশ জন নিহত হওয়ার পর তার কোনো জবাব না দিলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি হবে।
“আমরা ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা।
সিরিয়ায় আমরা যে চিত্র দেখেছি তার প্রতি আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।