নারীদের নিয়ে আয়োজন বর্ণাঢ্য এক নাট্যোৎসবের। ছয় দিনব্যাপী এই উৎসবের নাম ‘নারী জাগরণের নাট্য আয়োজন ২০১৩’। নারী নাট্যকর্মীদের নাট্য রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয়ের পাশাপাশি নারী বিষয়কে উপজীব্য করে এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নাট্যকলা ও চলচ্চিত্রবিষয়ক বিভাগ। নাট্যোৎসবটির উদ্বোধন হয়েছে ১৯ আগস্ট বিকেল পাঁচটায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাট্যোৎসবটির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।
উপস্থিত ছিলেন রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, সুলতানা কামাল, ফেরদৌসী মজুমদার ও সারা আরা মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। উদ্বোধনী দিনে পরীক্ষণ হলে মঞ্চস্থ হয় লোকনাট্যদলের নাটক লীলাবতী আখ্যান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর প্রযোজনায় বেহুলার বাসর নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে স্টুডিও থিয়েটার হলে। ‘নারী জাগরণের নাট্য আয়োজন ২০১৩’ নামকরণ প্রসঙ্গে কথা হলো লিয়াকত আলীর সঙ্গে।
‘স্বাধীনতার পর থেকে নারীরা সামাজিকভাবে নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নাট্যক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাঁরা কখনো থেমে থাকেননি। নাটক লিখেছেন, নাটকে অভিনয় করেছেন, আবার নাটকের নির্দেশনাও দিয়েছেন। এই উৎসব কোনো বিশেষ লিঙ্গীয় নাট্য উপস্থাপনা নয়। ’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা এই প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা বাংলাদেশের থিয়েটারের অনিবার্য অংশ।
তাঁদের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় ঘটছে না। এই উৎসব একটি সংগ্রামী ও সামাজিক সাম্যে বিশ্বাসী জাতির নতুন দর্শনে পদার্পণের চিহ্ন। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।