কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
অনুভুতি প্রকাশের বাধা , মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রচন্ড আঘাত পেলাম। এখন কূড়ে কূড়ে বিনষ্ট করছে আমার লিখা লেখির সব ধরনের অর্জন। যদিও অনেকের কাছে এই অর্জন খুব স্বাভাবিক মনে হতে পারে। একজন মানূষের সকল আনন্দ হাসি নিমিষেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যেতে পারে। মানূষ দাড়ীয়ে যেতে পারে মৃত্যুর দাড়প্রান্তে।
জীবন্ত মানূষ কে মৃত হতে দেখেছেন কি কেউ। নিষ্প্রাণ নিষ্প্রব একটি দেহ। সচল একটি চাকা মাত্র। ভিতরে কোন আত্মা আছে বলে মনে হয় না। বাধা এলো , মত প্রকাশের বাধা প্রচন্ড বাধা মনের উপর আত্ম-স্বাধীনতার উপর।
ব্যাক্তি স্বাধীনতার উপর যা প্রচন্ড হস্তক্ষেপ। এক নারী থেকে ,যা কারনে অকারনে নিজেকে আবিস্কার করলাম গভীর ভাবে এক সংকটাপন্ন ইমেজের।
বিগত জীবনের অনাকাংখিত অনেক কিছুর দায় যা পরবর্তীতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে একপেশে জীবন গ্রহণ করার পরও অতীত কোন এক বিশেষ মূহুর্ত বিশেষ ঘটনা প্রবাহের দায় এবং নিজেকে নুতন করে আবিস্কার করার পর শুরু হলো এবং ঘটতে শুরু করলো একেকটা অঘটন। নিজেকে নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেখা গেল , কঠিন ,অবাস্তব অসম্ভব কাজকেও সম্ভব করা আমার পক্ষে অন্য অনেকের চেয়ে সহজ ছিল।
খেয়ালিপনায় ছিলাম অসম্ভব রকমের খেয়ালি
কোন রকমের পাপ বা অঘটন সংগঠিত হলে ,অনুশোচনা হতো।
কিন্তু সম্প্রতি একটি ভূল করেছি তার জন্যে কোন অনুশোচনা হচ্ছে না। কিন্তু আমার পরিচয় , আমার সম্পর্কে ধারণা , মানূষ ধারণা বশবর্তী হয়ে ভূল ধারনা লালন করছে। সেই আমি আর এই আমির মধ্যে অনেক পার্থক্য। কোন একজন ব্যাক্তি যদি ভূল বুঝতো দুঃখ ছিল না। পুরো একটা গ্রুপ ,পুরো একটা টিম আমাকে ভূল বুঝছে।
কারণ ঐ একজন বিশেষ ব্যাক্তি বিশেষ। তার বাড়ীয়ে বলার অভ্যাস। তার সাথে আমার বন্ধু মহলের অনেকেই মিথ্যা এবং বানিয়ে বাড়িয়ে বলার অভ্যাস ছিল। কিন্তু এত বেশী যা আমার সাথে মিলে না। অতীত নিজেকে আবিস্কার করার পর যা মনে হয়েছে।
আমাকে আবিস্কার করা ঠিক হয় নি। আমার বন্ধু মহলে কিছু বন্ধুর বানিয়ে বানিয়ে প্রচন্ড মিথ্যা বলার অভ্যাস ছিল। যে কারো অপকর্ম নিজের বলে চালিয়ে দিতে দ্বিধা বোধ ছিল না। আর আমাদের নিজেদের অপকর্ম ছিল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। তাই বলে কু-কর্ম কারীরা কু-কর্ম গুলো আমাদের নামে চালিয়ে যেত তাদের ফায়দা হাসিল করতো গোপনে।
৯০এর স্বৈরাচার পতনের পরবর্তী সময়ে ছাত্র রাজনীতির পালাবদলের মাধ্যমে আমাদের অত্র অঞ্চলের ও পালা বদল হয়। সু-সংগঠিত শৃংখলা সমৃদ্ধ একটি ছাত্র রাজনীতির আদর্শের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে। নিজেদের কিছু আদর্শ টিম ওয়ার্ক ছিল আমাদের রাজনীতির মূল সেতু বন্ধন্। তার সাথে ছিল পেশি শক্তি , যদিও তা সব সময় ব্যাবহার করার প্রয়োজন অনুভব করতাম না। প্রতিরোধ ছিল মূল অনুষঙ্গ।
কিছু ভীতু দূর্বল প্রকৃতির লোক আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়লো। যাদের মূল কাজ ছিল খবর আদান প্রদান এবং দুর্বল সময়ে সটকে পড়া। কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু জড়িত ছিল। অপকর্মের সাথে জড়ীত ছিল কিনা জানি না। কিন্তু অপকর্ম তারা করেছে বলে প্রচার করতো।
সেই রকম এক দুটি অপকর্মে দায়ে জর্জরিত আমি। যার দায় আমি নিব না। অনেকে মনে করতে পারেন আমার ইমেজ সংকট ছিল কিনা ? রাজনৈতিক দলগুলোর ইমেজ ভালো ছিল না। কিন্তু ব্যাক্তি ইমেজ খারাপ ছিল না। সেই ইমেজের সুবিধা দল অনেক সময় ভোগ করেছে।
সেই ইমেজকে কাজে লাগিয়ে অন্যরা ফায়দা লুঠছিল। মিথ্যার বেসাতি যার বোঝা এখন নিজেকে আবিস্কার করার পর খোঁজে পেলাম এক নুতন আমি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।