প্রতিদিনকার চলা মমি করে রেখে যাই ওয়েবের পিরামিডে
সবকিছু ফুরালে বসে বাতাস গুনছি-- কোনটা তোমার কানের কাছ ঘেঁষে এল, কোনটা দূরের বাঁশি, কেশগুচ্ছ তার সাক্ষী হয়ে বাঁচে
বাঁশঝাড়ের পাশে মিথ্যার সাথে এই ভরা দুপুরবেলায় বাতাসের যে বাতচিৎ তা আমি কাছে দাঁড়ানো ছিলাম বলে ঝরাপাতাদের কাছে ঠিকঠাক নোটিশ করেছি, নইলে পাতারা সব থেকে যেত তথ্য-অন্ধকারে, উড়ে উড়ে যেখানে পড়ত গিয়ে, সেখানেই ছড়াত যে, কোনোকালেই মিথ্যার সুদীর্ঘ লেজে কেউ আগুন দেখে নি
আসলে প্রকৃত গান এরকম যে, লেজে দগদগে ক্ষত নিয়েও মিথ্যারা সংসার করে যাচ্ছে সত্যদের প্রতিবেশী হয়ে-- সুর হলো ভালোমন্দ বোঝাপড়া দুইয়ের
২.
রোদের প্রান্তরে কিছু পাণ্ডুলিপি ওড়ে, তার পিছু পিছু এক দঙ্গল মৌমাছি এসে খামচাখামচি করে তুলে নেয় সৃজনের মধু, শুধু কঙ্কালের মতো পড়ে থাকে বর্ণমালা, অর্থহীন, দিকদিশাহীন, খোসা
ক্যামেরার চোখ চলে যায় মৌমাছিদের ফিরতি পথে, পড়ে থাকা গুনগুন ধরে আমরা এগোতে থাকি, যতক্ষণ না গানগুলো রূপান্তরিত হয় কোলাহলে
সমবেত হল্লা জমে সেখানেই, যেখানে সম্পদ স্থির হয়ে থাকে, অন্তত যেখানে চুঁইয়ে নামছে কিছু দেখা যায়, যেকোনো নালার ফোঁটা ফোঁটা জল, পেছনে জলের উৎস নির্দেশ করে, এইসব মিলিয়ে রচিত হতে পারে, আরেকটা মৌমাছিঘটিত পাণ্ডুলিপি, মধুময়
যার পরে থাকবে না আর কোনো গান
৩.
যখন চোখ ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসতে চায়, তখন তাকে বন্ধ হতে দেয়া ভালো, বড়ো করে তাকাবার জন্য ছোটদের ছুটি দেয়া ভালো
যাও, ঘুমোও গে চোখ, অন্ধ একটা মন নিয়ে আমি খাতা ও কলমে কিছু লোফালুফি খেলি, এহেন অতন্দ্র চর্চায় রচিত হবে যে বাঁধ, তা দিয়ে ঠেকানো সম্ভব আগামীকালের ঢেউ
কূল ভেঙে ভেঙে নইলে কখন টান পড়ে যাবে ভিটের মাটিতে, ঘুমঘোরে তার শেষে ঠাহরই পাব না
যাও, ঘুমোও গে চোখ, আরেকটু বসেটসে নদী পাড়ি দেব আমি শেষ খেয়া দিয়ে
৪.
ঘরে বসে সমুদ্র দর্শন শুধু মানুষই করতে পারে, গরু-ছাগল পারে না, এমনকি হাঙরেরও সমুদ্র দরকার সমুদ্রসিনানে
সমুদ্র তো কোন ছার, মানুষ এমনকি মনে মনে মানুষেও করে স্নান
Art work: False Start of Jasper Johns (1930) from http://www.allposters.com
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।