বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........
সকালে অফিসে যাওয়ার সময় বা আসার সময়, ট্রেনের অবধারিত সিগনালে আটকে থাকতে হয় কমপক্ষে ১০/১৫ মিনিট থেকে শুরু করে কপাল খারাপ থাকলে আধাঘন্টা পর্যন্ত। কখনো খেয়াল করে দেখেছেন এগুলো কোন ধরণের ট্রেন?
হ্যাঁ, কিছু আছে আন্ত:নগর ট্রেন যেগুলোতে আমরা অনেকেই বিভিন্ন সময় যাতায়াত করেছি। কিন্তু পুরো নীল রঙের অন্য যে ট্রেনগুলো চলে সেগুলো দেখবেন খুবই কমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলছে। আর যারা এগুলোতে চলে তাদের বেশীরভাগই বিনা টিকেটের যাত্রী। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা খরচ করে এই ট্রেনগুলো চলছে, সরকারের লোকসানের বোঝা যেমন প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছে তেমনি নষ্ট করছে মূল্যবান কর্মঘন্টা।
হয়ত কোন এক কালে কোন প্রয়োজনে চালু করা হয়েছিলো ট্রেনগুলো। তারপর থেকে চলছে তো চলছেই। বন্ধ করতে গেলেই 'হা হা' করে উঠবে স্থানীয় মন্ত্রী, এমপি, ইউপি চেয়ারম্যান। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের বিনা পয়সায় ভ্রমণের জন্য দিনের পর দিন নষ্ট করা হচ্ছে পাবলিকের ট্যাক্সের পয়সা।
আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি।
চট্রগ্রামে থাকতে দেখেছিলাম শহর থেকে নাজির হাট আর দোহাজারীতে কিছু ট্রেন চলে। এই ট্রেনগুলোর প্রায় সব যাত্রীই বিনা পয়সায় চড়ে। ব্যবসায়ীরা (বিশেষ করে মুদী দোকানের মালিকরা) তাদের মালামাল পরিবহণ করেন ফ্রী'তে। কিন্তু যতবারই এই ট্রেনগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে ততবারই বাগড়া দিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এবং বিশেষ করে চট্রগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী। রেলওয়ের দুই পয়সা ইনকামের বেলায় কেউ নাই কিন্তু যখনি দুই পয়সা বাঁচানোর কথা আসে তখন সবাই বাগড়া দিতে আসে।
অনেকে হয়ত বলবেন কিছু গরীব মানুষ এই ট্রেনগুলোতে চড়ে শহরে আসে। কিন্তু সরকারের টাকা তো আমাদেরই টাকা, তাইনা? তাছাড়া যে জেলাগুলোতে ট্রেন নেই (যেমন বরিশাল, পটুয়াখালী) সেখান থেকে গরীব মানুষ কি শহরে আসেনা? কারো সত্যিকারের প্রয়োজন থাকলে, সে যেভাবে পারে সেভাবেই আসবে। তার জন্য গরীব দেশের সরকারী পয়সায় চলা 'ফ্রী ট্রেনের' কোন দরকার নাই।
শেষকথা: কোন সাংবাদিক ভাই এই বিষয়টা নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়াতে বিস্তারিত কোন প্রতিবেদন লিখলে খুশী হবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।