আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পলিটিকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইনা

বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........

এডভোকেট সাহারার ব্যাপারে আগে থেকেই সন্দেহ ছিল, অবশেষে তিনি তা সত্যি প্রমাণ করলেন। তিনি একটা ঢালাও মন্তব্য করেছেন যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চাইতে একজন রাজনীতিকের মুখেই বেশী মানায়। নির্বাচনোত্তর সকল সহিংসতাই নাকি বি এন পির আভ্যন্তরিন কোন্দল। এই ঢালাও মন্তব্যের দুটি খারাপ দিক আছে- প্রথমতঃ কথাটা মিথ্যা। যারা রাজনীতি করেন তারা জানেন ক্ষমতা হারানোর পর একটা দল কতটা অসহায় হয়ে যায়।

পুলিশ বিপক্ষে চলে যায়, সাধারণ সমর্থকরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, চিরচেনা সহকর্মীরা গা ঢাকা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই অভিজ্ঞতা শুধু বি এন পির একার নয় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগেরও হয়েছে। তাই নির্বাচনে হারার পর কোন ধরণের সন্ত্রাস করার ইচ্ছাও যদি থাকে তা করা মোটামুটি অসম্ভবই বলা চলে। আর নির্বাচনে বিজয়ের পর চিহ্নিত সকল সন্ত্রাসী দেরী না করে সরকারী দলে যোগ দিতে থাকে। দ্বিতীয়তঃ এই ঢালাও বিবৃতি সারা দেশের আওয়ামী লীগ কর্মীদের একটা মেসেজ পৌছে দেয় যে, তোমরা যা খুশী করতে পার।

সরকার তোমাদের কিছু করবেনা। আজ প্রথম আলোর প্রথম পাতায় এ সংক্রান্ত একটি লেখা এসেছে। একারণে আমার মতে আউট এন্ড আউট পলিটিশিয়ানদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ না দেয়াই ভাল। তারা কখনো দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠতে পারেননা। এই পদে আমার পছন্দ ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিক।

উনাকে বলা চলে মেক শিফট পলিটিশিয়ান, সাহারার মত রাজপথের সৈনিক না। তাই উনি হয়ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনার উর্ধ্বে উঠতে পারবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.