আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেকনাফে একদিন

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।

সেন্ট মার্টিন থেকে ফিরে একদিন টেকনাফে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম, কারণ টেকনাফকে এখনো ভালোভাবে ঘুরে দেখা হয়নি ।

টেকনাফ শহরটা অপরিচ্ছন্ন শহর কিন্তু এখানকার প্রকৃতি খুবই সুন্দর । অনেক কিছুই আমার দেখা হয়ে উঠেনি, তবে যেটুকু দেখা হয়েছে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । এই জায়গাটাকে বলে টেকনাফের শাপলা চত্বর, এখান থেকে রিক্সা নিয়ে খানা খন্দকে ভরপুর একটা দীর্ঘ রাস্তা পারি দিয়ে গেলাম সমুদ্র সৈকতে । আমার মনে হয় প্রায় দুই কিলোমিটারের মতো রাস্তা হবে, কিন্তু এমন একটা পর্যটন এলাকার রাস্তা এতো বেশী ভাঙ্গাচোরা থাকতে পারে তা অকল্পণীয় । তবে সাগরে পৌছে আপনি রাস্তার কষ্টের কথা ভুলে যেতে বাধ্য, অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন একটা সৈকত, হরেক রঙের পতাকা দিয়ে সাজানো জেলে নৌকাগুলো মাছ ধরার শেষে সমুদ্রের পারে ফিরে এসেছে ।

মাছের বোঝাটা উঠাতে গিয়ে আমাকে বেশ বেগ পেতা হলো, অনেক বেশী ভারি বোঝা । আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না ওরা এমন ভারি বোঝা নিয়া এমন টেকনাফ শহরের দীর্ঘ পথ পারি দেয় কিভাবে, অথচ দেখলাম ওরা দিব্বি এই বোঝা নিয়ে দৌড়াচ্ছে........ আমি তো শুধু বোঝা উঠিয়ে দেখলাম তাহার ওজন কতটুকু, আমার বন্ধু ওখানকার সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে কাঁচা মাছই খেয়ে টেষ্ট করতে চায় মাছ ধরে ট্রলারগুলো তীরে ভীরলে ওরা ট্রলারের নীচে এভাবেই চাকা লাগিয়ে ট্রলারগুলোকে শুকনায় নিয়ে আসে । ট্রলার থেকে মাছ নামানো হচ্ছে মাছ নামিয়া সাজিয়ে রাখা হচ্ছে এবার শহর অভিমুখে ছুটে চলা বালুতে একটা খুলে থাকা ঝিনুক দূরে থেকে দেখবেন সমুদ্রের বালির উপর লাল আস্তরণ, কাছে আসার চেষ্টা করলেই দেখবেন ওখানে একটা ঢেউ উঠেছে, এবং শুধুই বালি পড়ে আছে, এগুলো আসলে লাল কাকড়া, ওরা বালির উপর ঘুরে বেড়ায়, ার মানুষের আঘমনটা অনেক দূর থেকেই টের পেয়ে গর্তের ভেতর ঢুকে পড়ে । অনেক উৎপেতে থেকেও ওদের ছবি এর চেয়ে বেশী উঠানো সম্ভব হয়নি । ফেরার পথে গ্রামে ঢুকে লাল কাকড়ার ছবি অবশেষে আমি উঠাইতে সমর্থ হয়েছিলাম ।

ওর কল্যাণে আমি ছবি উঠাইতে পেরেছিলাম, এই বাচ্ছা কাকড়াটাকে নাইলনের রশইতে বেধে খেলা করছিল । সমুদ্র শেষ করে এবার পাহাড়ের দিকে নজর দিলামঃ উপরের ছবিটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশদের তৈরী একটা ব্যাংকার , এই ব্যাংকারের ভেতরের সুরঙ্গ পথে নাকি পার্রশবতী পাহাড়ের চুড়ায় যাওয়া যেত, ঐ সুরঙ্গ পথটা বর্তমানে বন্ধ আছে । বন্ধুরা পাহাড় বেয়ে ঐ ব্যাংকারে না ঢুকলেও আমি ঠিকই ভেতরে গিয়ে ছবি তুলে এনেছি । ছোট্ট একটা পাহাড়ী ঝরণা সব শেষে আপনাদের জন্য এই ছবিটাও তুলে আনলাম । [img|]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.