I love politics. I want death of those who killed our Army officers. "আহম্মক, বেকুব, বলদ, ভোদাই" মুচুর মা মুচুকে ইচ্ছা মতো বকতে থাকলো। "ভোদাই কোথাকার, তিন দিন হয়েছে এক ফোটা রক্তোও খেতে পারিসনি, তাই না? তোর বয়সের কতো ছেলে মশা দিব্যি মানুষের রক্ত খেয়ে বেড়াচ্ছে আর উনি হয়েছে বেকুব প্রকৃতির এক মশা। এখন যা পারিস গিয়ে কর, তোর কোন খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। " মুচুর মা কথাগুলো বলে সেখান থেকে সরে পড়লো। মুচু চুপচাপ মায়ের বকুনি সহ্য করলো, কিছুই বললো না।
সেখানে মুচুর মামা কুচু উপস্থিত ছিল। সে সব কিছুই শুনলো। "ভাগ্নে! কি রে, মশা হয়েছিস আর রক্ত খেতে পারছিস না, এ কেমন কথা?"
"আরে মামা, কতো চেষ্টা করলাম খাওয়ার, কিছুতেই পেরে উঠিনা, এখনকার ডিজিটাল সময়ের মানুষরা দেখি বেশ স্মার্ট হয়ে গিয়েছে। সেদিনতো অল্পের জন্য দরা খেতে যাচ্ছিলাম। ঐ যে একটা বাড়ি আছে না যেখানে কয়েকজন ভোম্বল দাস রা থাকে সেই বাড়িতে গিয়েছিলাম।
রাতের বেলায় ভোটকা লোকটি যেই মশারি তুলে ঢুকতে যাবে ঠিক সেই সময়েই আমি চট্ করে ঢুকে পড়লাম মশারির ভেতর। ঘুপটি মেরে মশারির কোণায় বসে ছিলাম। বেশ ভয় লাগছিল। যদি ঠাস্ করে আমায় মেরে ফেলে, সেই দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে গেলাম। তো যাই হোক, আমি চুপচাপ ছিলাম।
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হলো। এরপর ওই বাসার মহিলা, সেও কি মোটা, সে লাইট বন্ধ করে মশারির ভেতর ঢুকলো। ভাবলাম, আজ রাতে খাওয়া যাবে। স্থির করলাম দুইজনা ঘুমানোর পরেই আক্রমণটা করা শুরু করলাম।
অবশেষে সুযোগ তৈরী হলো।
সবাই ঘুমোচ্ছে। খাটে ছিল তিনজন। একজন পুরুষ, একজন মহিলা আর আরেকটি ছোট্ট একটি মেয়ে, তাদেরই বাচ্চা হবে। আগে কখনো বাচ্চাদের রক্ত খাইনি, শুনেছিলাম তাদের রক্ত নাকি বেশ মিষ্টি হয়। সুতরাং টার্গেট করলাম বাচ্চা মেয়েটির রক্ত খাওয়া দিয়েই রাতের আহারটি শুরু করবো।
আর পেরে উঠছিলাম না। বেশ খুদা পেয়েছে ইতোমধ্যে। নিজেকে প্রস্তুত করলাম আক্রমণে যাওয়ার জন্য। মশাদের জীবনটা বেশ মর্মান্তিক। একবার দরা খেলেই জীবনটি শেষ।
না ফেরার জগতে চিরতরের জন্য চলে যেতে হবে। আর মানুষরাও হলো এক বর্বর জাতি। আমরাতো তাদের রক্ত তাদের শরীরে ব্যথা দিয়ে খাইনা, শুধুমাত্র তাদের একটু চুলকানি হয় রক্ত খাওয়ার পর আর তারা আমাদের ওপর যে নির্মম অত্যাচার করে তা কল্পনা করা যায় না। আমাদের ওপর হঠাৎ করে করে তারা যে আক্রমণ করে বসে তা খুবই বেদনা-দায়ক।
তো যাই হোক, এবার রক্ত খাওয়ার পালা।
মুহুহাহাহা!!! খুব আনন্দ লাগছে। ওমা! যেই কিনা মশারিটা ছেড়ে বাচ্চাটার গায়ে বসতে যাবো, ভো ভো করে এক আওয়াজ শুনতে পেলাম। তাহলে কি আমি ছাড়া অন্য কেউ আছে মশারির ভেতর? যা ভেবেছিলাম তাই, কেউ একজন আছে মশারির ভেতরে। আমারি বন্ধু ঝিনি সে অনেক আগে থেকেই মশারির আরেক দিকে ছিল। আমাকে দেখে সে বললো, কি রে, মুচু কতক্ষণ থেকে আছিস এখানে? আমি বললাম যে আছি কিছুক্ষণ হবে, এই মাত্র রক্ত খেতে যাচ্ছিলাম।
ঝিনি যে কথাটি বললো তা তে বেশ নিরাশ হতে হলো। সে বললো, এখন খেতে গেলে নির্ঘাত ধরা পড়ে মরা পরবি। আমি বললাম কেন? ঝিনি বললো, আমি এতক্ষণ ধরে ওদেরই রক্ত খেয়ে মশারির কোণায় চুপচাপ বসে থাকতে আসছিলাম আর এসেই দেখি তুই এখানে। বের হতো কি করে মশারি থেকে তা যখন জানতে চাইলাম তখন ও বললো যে, ঠিক ৩টার দিকে বাচ্চাটির বাথরুম লাগে। এই সময়ই বের হয়ে যেতাম।
আমি নিরাশ হয়ে ঝিনিকে জিজ্ঞেস করলাম রক্ত খেতে যাবো কিনা? ও সাহস দেখালো আমাকে। ...............(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।