নতুন কিছু জানতে চাই । শেখার কোনো শেষ নাই ।
নাম তার ছোট্ট লুই, থাকে ঢাকার অদূরে সাভার বাসষ্টান্ড সংলগ্ন ওভার ব্রীজের পাশের ডাষ্টবিনে, আর দিনের বেলা খোলা ম্যানহোলের ভেতরে লুকিয়ে থাকতে হয়। ঢাকা শহরে কখনও আসা হয়নি, তবে মা'র কাছে নাম শুনেছে। আর এও জেনেছে সেখানে নাকি রাতের বেলা অনেক অসহায় মানুষ থাকে খোলা আকাশের নীচে তাদেরই মতো ।
ভালই চলছিলো লুইয়ের জীবন, হটাৎ করেই তার জীবনে নেমে এলো কাল মেঘের ঘনাঘটা বাবা মা'র সাথে গিয়েছিলো রক্ত খেতে,
এ যাওয়ায় তার সর্বনাশ ডেকে এনেছিলো। বাজারের ভেঁজাল মশার ঔষধে তার মা বাবার মৃত্যু হলেও সে অর্ধমৃত অবস্হায় ফিরে এসেছিলো খোঁড়াতে খোঁড়াতে। (ভেঁজাল এই জন্য বলছি যে পিওর হলে সেও মরত)
ফিরে আসার পরে সে পড়ল নতুন সমস্যায়, খুঁধা লাগেনা চোখে কম দেখে ইত্যাদি ইত্যাদি নানান সমস্যা। প্রতিবেশীরা সবাই মিলে চিন্তায় পড়ে গেলো, পরে কবিরাজ কে দেখিয়ে জানতে পারল তার ব্লাড ক্যানসার হয়েছে। সমাধান একটাই তাকে প্রতিদিন রক্ত খেতে হবে, কচি হলে আরও ভালো।
এখন সবাই ভাবতে লাগল কিভাবে তাকে বাঁচানো যায়, কোথায় পাবে এত মানুষ? তখন সবচেয়ে বয়স্ক মশা এগিয়ে এসে বলল একটাই সমাধান আছে, তা হলো ঢাকায় যেতে হবে। সেখানে নাকি একটা বিরাট পাইকারি বাজার আছে নাম কাওরান বাজার যা মাঝ রাতে শুরু হয় আর ভোরের আলো ফোটার আগেই শেষ হয়ে যায়। সেখানে গ্রাম থেকে অসহায় মানুষ গুলো যাদের হোটেলে থাকার সামর্থ নেই তারা খোলা আকাশের নীচে মশারি বিহীন থাকে ছোট বাচ্চা কাচ্চা সহ।
লুইতো ঢাকা শহর চেনেনা কিভাবে যাবে এতদুর পথ?
বহু অনুরোধের পর সেই বয়স্ক মশা রাজি হলো আমিন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত এগিয়ে দিবে বাকি টুকু তাকে নিজে যেতে হবে। কারন সে জানে ঢাকা শহর খুব ভয়ংকর জায়গা সেখানে অৎ পেতে থাকে পদে পদে রঙিন বিপদ।
মানুষ টিভির বদৌলতে জেনে গেছে মশা বাহিত বিভিন্ন ভয়ংকর অসুখের নাম। তাই তারা মশারি ও বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ব্যাবহার করে। তবে এত বিপদের ভিড়েও একটা সুখবর আছে তাহলো সিটি-কর্পোরেশন ইদানিং কোনো ঔষধ ছিটাইনা।
যাইহোক, সবার দোওয়া নিয়ে সন্ধায় দুজনে বেড়িয়ে পড়ল ঢাকার উদ্দেশ্যে, . . .
সে কি পারবে এতটা পথ নানা অন্ধকার অজানা গলি পেরিয়ে নানা বিপদ ডিঙিয়ে একা একা ভোরের আলো ফোটার আগেই কাওরান বাজারে সেই অসহায় মানুষ গুলোর কাছে যেতে ????????
তাকে যে পারতেই হবে কারন আজকেই যে তাকে প্রথম ডোজ টা নিতে হবে!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।