গত রাত থেকেই শুরু হইছে সবার ফেসবুক, ব্লগ, এস এম এষ এ দেশপ্রমের স্ফুলিংঙ্গ। সবাই খুশি, একজন আর একজনকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে থেকেই গারি ঘোড়া সব কিছুর উপরে পতপত করে উড়ছে জাতিয় পতাকা। কারন এটা ডিসেম্বর মাস।
আমাদের দেশ প্রেম দেখে খুশিতে মনটা বাগবাকুম করে উঠে।
কিন্তু হঠাৎ বেয়াদব বিবেকটা খোচা দিয়ে বলে ''তোমারা বাঙ্গালীরা হুজুগে জাতি, আর তাই সারা বছরের জমিয়ে রাখা দেশ প্রেম এই একমাসেই আমারা প্রকাশ কর। জানুয়ারী থেকে জমাতে শুরি কর ২১শে ফেব্রুয়ারীর জন্য, তারপর মার্চ তারপর আবার ডিসেম্বর''
আমি বেয়াদটার কথা জোড়ালো কন্ঠে প্রতিবাদ করি, না না হতেই পারে না
আমাদের দেশ প্রেমে কোনও ভাজাল নেই।
ওটা বলে ''তাই বুঝি এই শীতের রাতে হাজেরো মানুষ খোলা আকাশের নীচে শুয়ে থাকে''
আমি উত্তর দেই না দেখ আমরা আমরাতো একটা গরীব দেশ, তাই এমন হয়।
ওটা আবার বলে উঠে ''তোমার গরীব, তাই বুঝি?? তাহলে তোমাদের এত প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে নেওয়ার জন্য বিদেশীরা কেনও হাত বাড়াচ্ছে। ''
আমি বলি আরে বাবা আমাদেরতো টেকনোলজি নাই ওগুলো কিভাবে তুলব?
ওটা আবার বলে ''৩৮ বছরেও টেকনোলজি হল না!! আফসোস্।
তা কবে হবে?''
আমি চুপ হয়ে যাই।
''আচ্ছা দাম তোমারা দূর্নিতি কয়বার যেন প্রথম হয়েছিলে??''
আমি চুপ হয়ে থাকি
''আচ্ছা তুমি কি জান গত ৩৮ বছরে কত জন খুন হয়েছে, কত মেয়ে লাঞ্চিতা হয়েছেন, কত মার বুক খালি হয়েছে, কত বাবা চোখের পানি ফেলেছেন?''
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে উত্তর খুজতে থাকি
ওটা বলতে থাকে ''তুমি কি জান ভারতিয় বি এস এফ ডত ৩৮ বছরে কত জনকে হত্যা করেছে? যারা তোমাদের নিরাপত্তা দেবে তাদের কিছু পিলখানায় নিহত হয়েছে আর বাকিরা ভাড়াটিয়া গার্ড হয়ে আমেরিকার সেবা করছে। আমেরিকা তোমার দেশে এসে মহড়া কর তোমরা চুপ করে থাক, এর পরিনতি তোমরা বুঝতে চাও না। তোমাদের রাজনিতীবিদরা আমেরিকাকেই তাদের জীবন আর মৃত্ত্যুর মালিক মনে করে আস্তে আস্তে তোমাদের স্বাধিনতা তদের ঔ প্রভুর হাতে তুলে দিচ্ছে। তোমার দেশের বুদ্ধিজিবীরা বিক্রি হয়ে গেছে।
তোমাদের স্বাধিনতার সূর্য আবার ডুবে যাচ্ছে। অথছ তোমরা প্রতিবাদ করছো না। তোমারা জীবন কে বেশি ভালবাস। নীজেদের ভীরুতাকে আড়াল কর মিথ্যা দেশপ্রেম এর বুলি কপচিয়ে। তোমার দেশের বাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের লাথি মারে, প্রতিবাদে তোমরা রাস্তায় ও নাম না।
তোমাদের এখনে নব্য রাজাকেরদের উত্থান হয়, তোমরা ব্যাস্ত থাক দলাদলিতে। পাকিরা কিন্তু তোমাদের কোনও দল দেখে মারে নি, আমেরিকা বা ভারত ও তাই করবে। ..............''
আমি কানে আঙ্গুল দেই, আর কিছু শুনতে চাইনা আমি।
কিন্ত ওটা থামে না বলতেই থাকে ''ইতিহাসকে ভুলোনা! ভুলোনা মীর জাফরকে! ভুলোনা দুইশো বছরের গোলামীকে! যদি ভুলে যাও তাহলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিকে ঠেকাতে পারবে না। ৩০ লক্ষ শহীদ তোমাদের হাতে এই ভুখন্ডকে তুলে দিয়ে গেছে।
তোমাদের বাবরা ব্যার্থ হযেছে, তোমারা ব্যার্থ হযোনা। ''
আমার কাছে আসলেও কোনও উত্তর নেই। আছে কি আপনাদের কারও কাছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।