আমার আমিত্ব যাবে অধো :পাতে , চন্দ্রালোক নীলবন
তাকে কভু মোহিত করবেনা | কেবল হোচট খাবে
রাস্তায়
সিড়িতে
ড্রইং রুমে
সমভূমি মনে হবে বন্ধুর পাহাড়
উল্টে পা হড়কে পড়ে যাবে
নিচে
আরও নিচে
ময়লার ড্রেনে
প্রতি বস্তুর দ্রোহ তার দেহ সারাক্ষণ করবে মথিত
সে ভয় পাবে
হাতছানি
কালো চোখ
উড়ন্ত কুন্তল
তাকে ভিত করে যাবে অভিসারী প্রতিটি বিকেল
দৃশ্য তাকে করবে অন্ধ
সুর তাকে করবে বধির |
সে আত্মহত্যা করবে
কালো রিভালবর
মধ্য রাতে ছাদ
ভর বেলাকার রেলগাড়ি
তার স্বপ্নদল যা সে কুরিয়ে এনেছে ঘুমের ভেতর থেকে -
সে বেরুলেই সূর্য নেভে
বৃষ্টি নামে কাঁটা তারের মতন
নষ্ট হয় রাজপথ , শহর , বন্দর , গ্রাম সারা বাংলা
তার অভিসারের দিন হটাত ঘোষিত হয় পুরনো দিবস হরতাল
সে রিকশায় উঠলেই টায়ার ফাটে
চৌরাস্তার নষ্ট লাল বাতি
চারিদিক চমকে দিয়ে আচমকা জলে উঠে
তার কারণেই
লাস্সোময়ী তরুনীর গর্ভে রুগ্ন হয়
প্রথম সন্তান
পুস্প প্রিয় শান্ত মালির চোখে বিবর্ণ গোলাপ ঝরে যায়
রুগ্ন হয় ইলিশ বোঝাই নদী , রুই কবলিত দিঘি ; জীর্ণ
হয় রসময় বৃক্ষ , নগরীর রূপসীরা -
অদিতীয় ,
দুষ্ট ,
মারাত্মক বাধি,
অভিচারী ,
নিজেক সর্বত্র করে তোলে প্রিয়
সুস্ত যদি এখন শরীর , ভয়াভহ বাধিগ্রস্থ হয়ে থাকি আমি ,
ও আমার আত্মা , সমগ্র ভুভাগ | সুস্থতা নেই দিবসের
সূর্যতলে , রাত্রির চাদের নিচে , জলেস্থলে | স্বপ্নে আসেনা পরীরা |
স্বপ্ন ও ভাসেনা অন্ধ চোখে | প্রকাশ্য রাস্তায় দিবালোকে , যত্র তত্র
সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করি কিশোরী কুমারী | যেনো আমি কফিনের থেকে
তুলে আনি কুষ্ট রোগ গ্রস্ত এক -একটি শরীর | এখন সর্বদা
রুগ্ন বোধ হয় সবকিছু ; গ্রন্থ , দর্শনার্থী , ঐতিহ্য , সভ্ভতা
এক
অসুস্থ সভ্ভোতা
দুরারোগ্য , পড়ে আছি নর্দমার তটদেশে
পাশের বস্তিতে নাচে আধ -নেংটো বিক্ক্রত রুগ্ন পরীরা |
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।