মানুষ হলো পৃথিবীতে একমাত্র সত্যিকারের নিঃসঙ্গ প্রাণী। প্রতিটি মানুষই তার নিজের মত করে একা। কি রকম একা একমাত্র সে ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। চরম বিপদের মুহুর্তে বোঝা যায় তার প্রকৃত স্বরূপ। মানুষ নিজে নিঃসঙ্গ বলেই তার জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় পার করে তার সঙ্গী বা সঙ্গীনী নিয়ে ভাবতে অথবা তাকে খুঁজতে।
মানুষ নিঃসঙ্গ কারণ তার এটা অনুভব করার প্রবল ক্ষমতা আছে যা অন্য কোন প্রাণীর নেই। মানুষ নিঃসঙ্গতাকে বাড়ে বাড়ে পাশ কাটায় তার কর্মকান্ড দিয়ে। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সে তার নিজের কর্মের জন্য দায়ী এবং তার এই দায়িত্ব তাকে বয়ে বেড়াতে হয় তার নিজের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মানুষ তার এই নিঃসঙ্গতাকে দূর করে নিত্য নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে। সে তার নিজের সৃষ্ট মায়ালোকে বাস করতে চায় তার নিঃসঙ্গতাকে দূর করতে এবং এই মায়া লোকের প্রধান উপকরণ বানায় তার সঙ্গী বা সঙ্গীনীকে।
যদিও একই সাথে বাস করে তার বিহংগ মন , জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত চলে এই দুয়ের মধ্যকার মল্লযুদ্ধ। এ নিয়ে নিচের কয়েকটি ছত্রঃ-
মানুষ আমি বিহংগ হওয়ার জন্য জন্মেছিলাম
পারিনি আমি উড়ে বেড়াতে
তোমার মায়ায় আটকে গিয়েছিলাম
পারিনি তোমায় ছেড়ে যেতে।
মানুষ আমি বড্ড একা
তোমায় নিয়ে শুধু ভাবনা
কিন্তু তুমি কিছুই নও।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।