আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপির ১৯ দফা: দাবির অন্তরালে নেতাকর্মীদের অজ্ঞতা



৮ ডিসেম্বর সকাল ৯ টা বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এলাকা লোকে লোকারণ্য । ১৬ বছর পর বিএনপির ৫ম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে হাজার হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠলো বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৫ম জাতীয় কাউন্সিল। সারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হতে লাগলো।

এ সময় তাদের মুখে শ্লোগান ছিল ‍‍‌‌‍‌"বিএনপির কাউন্সিল সফল হোক ও সার্থক হোক"। জিয়া -খালেদা,খালেদা-জিয়া ইত্যাদি। জেল-জুলুম-নির্যাতন তাদের কাছে কোন বাধা নয়। সবার মুখে একই কথা শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চাই। সেজন্যে দরকার হলে তারা জিবন দিতেও রাজি ।

কিন্তু মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা জানেন না শহীদ জিয়ার আদর্শ কি ? জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলেও শহীদ জিয়ার ১৯ দফা সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া গেল না। বগুড়ার শেরপুর থানা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হামিদুল হক সরকার বিএনপির রাজনীতির সাথে প্রায় ২৫ বছর ধরে কাজ করছেন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ১৯ দফা সম্পর্কে । তিনি বললেন,১৯ দফা হলো খালকাটা কর্মসূচী,গণমুখী শিক্ষা, বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসীদের একমঞ্চে আসার আহবান ইত্যাদি। মেহেদী জামান ফারুক,গাজীপুর জেলা যুব দলের নাট্য সম্পাদক ১৯ দফা সম্পর্কে তিনি বলেন,১৯ দফা হলো কৃষকদের সহযোগিতা করা,শ্রমিকদের সহযোগিতা করা,সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইসলামী মূল্যবোধ জাগ্রত করা। নরসিংদি জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম জুয়েল এ প্রসঙ্গে বললেন,১৯ দফা হলো সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করা,সবার জন্য শিক্ষা ।

এছাড়াও শহীদ জিয়া দেশের উন্নতির জন্য অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন এগুলোও ১৯ দফা কর্মসূচী। মো: আফজাল হোসেন মুলাদী পৌর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তার কাছে ১৯ দফা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ১৯ দফা হলো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়া ইত্যাদি। শাহাদত সরকার চাঁদপুর জেলার ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ২৫ বছর ধরেই বিএনপির রাজনীতিতে আছেন । তিনি ১৯ দফা সম্পর্কে বললেন, ১৯ দফা হলো মাটি ও মানুষের ভাত -কাপড় নিশ্চিত করা,স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া,স্বাধীনতা রক্ষা করা ..........। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির মহিলা সম্পাদিকা আন্জুমানারা ১৯ দফা সম্পর্কে বলেন, আমি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চাই কিন্তু আমি ১৯ দফা সম্পর্কে কিছু জানিনা।

আপনি লিখে দিয়েন ................. মো: রকিবুল ইসলাম ১৯৯৪ থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ভুয়াপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি,প্রায় ১২ মিনিট মাথা চুলকাইয়াও ১৯ দফা সম্পর্কে কোন শব্দ উচ্চারণ করেননি। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের আমিরুল ইসলাম ১৯৮৬ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতি করেন। বর্তমানে তিনি কুলকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভপতি । তার কাছে ১৯ দফা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ,এই মুহূর্তে আমি বলতে পারবো না আর এগুলো আমাদের লাগেনা ।

তবে তিনি বলেন,জিয়া ছিলেন দেশপ্রেমিক তাকে দেখেই আমি বিএনপি করি । এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য ওয়হেদুজ্জামান বুলা,কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান,খিলখেত থানা জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোশাররফ হোসেনসহ বেশ কিছু নেতা কর্মীদের কাছে ১৯ দফা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা উত্তর জানেন না বলে জানান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.