সবাই বাড়ী ফিরছে
সবাই বাড়ী ফিরছে কিন্তু অনেকেই বাড়ী ফিরে নি । এর জবাব এখন কে দিবে? নেই কেই আজ তাদের পাশে । আছে শুধু বুক ফাটা চিৎকার আর হা হা কার । এগুলো কে সঙ্গী করেই সামনের পথটুকু চলা । এই চলা যেন থেমে যায় সামনে পা বাড়িয়ে আর পথ চলতে ইচ্ছে করে না ।
হোঁচট খেয়ে খেয়ে কেবলই পরে যায় ।
কাজে কাজেই আমাদের দায়িত্বহনীতার প্রকাশ আরো প্রবল আকার ধারণ করে । দেখার কেউ নেই । আকুতির মিনতি আকাশের এক প্রান্ত থেকে শূন্যে মিলিয়ে যায় । না ফিরার দেশের মানুষেরা আর ফিরে না ।
বুদ্ধির কলম দিয়ে এই ঘটনা গুলোকে কাজের উপরের আনা যায় ঠিকই কিন্তু
ধার ছাড়া কলম খূবই দূর্বল বেশি কিছু করার ক্ষমতা তার নেই এ আগেই ভেঙ্গে যায় । প্রাণহীন দেহ গুলো পানিতে পচে মরে,উদ্ধারকাজ থেমে যায় প্রিয়জনের শেষ স্মৃতির চিহ্ন দেখার সুযোগ নেই । ডুবরিরা পেট চিড়ে দেয় তাই উপরের ভেসে আসে না বদনের পূর্ন অবয় । একি নিস্টুরতা নিহতের সংখ্যা হয় হাতে গুণা ৭৭ কিংবা ১০০ বাকীরা সবাই নিখোঁজ। নিখোঁজের যন্ত্রণা যে আরো বেশি এ কথা কাকে বুঝাই ।
নিখোঁজ হয়ে ই যেন থাকতে ইচ্ছে করে এমন প্রবনতা কার মাঝে থাকে । সবাই তো নিজের জানান দিয়েই বেচেঁ থাকার স্বার্থকতা খোঁজে বেড়ায় । তাদের জন্য আমরা দোয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না ।
ভোলার কিশেরগঞ্জে পর পর ঘটনা গুলো প্রিয়জন হারানোর বেদনা কে আরো বেশি বিচলিত করে ।
আমাদের সীমাবদ্ধতার দ্বার এখানেই রচিত হয় ।
পরস্পর বিশ্বাস আর ভালোবাসার স্থান গুলো অনুভূতির ধড়িবাজদের প্রচন্ড লোভনীয় দৃষ্টিতে হারিয়ে যায় প্রাণের বিনিময়ে । এই বিনিময়ের হিসেব খুব সহজ ভাবে করে নেয় । অবিশ্বাস,সন্দেহ,কু-ধারণার জালে আটকা পরে যায় ।
প্রতিটি জীবনের দাম মাত্র ৩০ হাজার টাকায় শোক প্রস্তাবে বিক্রি করা হয় ।
এদের ক্রেতাগণ অদৃশ্য জগতে বিচরণ করে বেড়ায়।
প্রাণের দাম যেন খুবই সস্তা
নিদারুণ বিবেচনা বোধ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।