আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৌনতা ভাঙার পর যেসব দৃশ্যের জন্ম হয়

উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি

কালকে জ্বরের ঘোরে ভুলে গেছো দেয়ালের নাচ, আজকে যা বার্তা মারফত জানালে, তবু যা ঘটার তা তো ঘটে গেছে, যথাসময়ে গ্লাসে চিপে দিয়েছি লেবু, বরফ আর সবটুকু মগ্নতা, গ্লাসের ভিতর নেচে গেছো তুমি, সেই ক্ষণটুকুর একখণ্ড দ্বীপে, এখন আমার বাজিধরা হাতের মুঠোতে শুধু ধুলো, আর সময়ের কালো পাগড়ীর মধ্যে লুকিয়ে ফেলছি দেহ নিঃসৃত দহন। দহনের নূপুর পরে এখন কাছে ঘেষছে সৃষ্টিশীল মৌনতার ধ্বনি, এই ধ্বনিতে সকল আত্মার নীলস্বর আজ বেজে উঠবে, চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে গভীর আকুতির মৌবন, সমস্ত বাসনার ঘুড়িগুলি আজ উড়বে চৈতন্যাকাশে, তুমি দেখবে বিছানার চাদোরে ফুল, টি-টেবিলে সাজানো আমার আঙুল। আঙুলের মধ্যে আঙুল গুজে গভীর রাতের জানালাতে যেসব নরনারীদের ক্লেদ ভেসে ওঠে, তাদের করুণা বাজে দূরে, ঘাসের নিচে পড়ে থাকে ভাঙা নথের টুকরো, তার ফ্যাকাসে এক কোণায় আমার স্পর্শ চুপ হয়ে থাকে, কত কাল ধরে যেন পড়ে আছে, বৃষ্টির শব্দে যখন ঘুম ভাঙে, তখন মনে হয় জীবনের শূন্য করিডোরে অর্ধেক আলো আর অর্ধেক ছায়াতে ফালি হয়ে যাচ্ছে বোধ, খুব কাছের আঙিনা সরে যাচ্ছে সীমানা ভেঙে ভেঙে, জোড়া লাগছে আবার বিয়োগ চিহ্নের পথে হারিয়ে যাচ্ছে মধুবন। আজ কোন বুনোফুলের গন্ধ ভাসেনি মনে, তার করোটি থেকে নেমে এসেছি, লুপ্ত বাসনার স্টেশনে যাত্রীদের মুখের ত্বকে বহুক্ষণ বসে থেকে ফিরে এসেছে কৈশোরের গান, আলোর গ্রীবা থেকে চুয়ে পড়া পাখিদের মৌন অভিমানে যে আকাশ ভেদ করে উড়ে যাচ্ছে যৌনযান, তার পিঠে চড়ে আছে তীরাবেগের ওষ্ঠ্য নিঃসৃত রোদ, যাকে বাহুতে জড়িয়ে আজ ভাবছি, অগ্নিরথে চড়ে চলে যাওয়া দাগের কথা, অসংখ্য তীরবিদ্ধ ছলাকলা। জ্বর থেকে উঠে এসো বেলি হোমে, জন্মদিনের স্মৃতি গেঁথে থাক রুমালের কোণে, হাসপাতালের একলা বিছানায় ঘুমিয়ে থাকুক নার্সের কোমল দুইখানা হাত, ডাক্তারের বমিকরা মুখোভঙ্গি ঝুলে থাক দেয়ালে দেয়ালে, আমি সদর দরোজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছি, দুখানা পা হয়ে গেছে বিদ্যুত পিলার, এসো পিলারের তারে, বসো, দিকচিহ্ন ঠিক করে ফের না হয় উঠে যেও দক্ষিণা পবনে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।