যারা প্রবাসে থাকে, অনেকে অনেক ভাবে ঈদ যাপন করে , কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন যাপন করে আসছেন, তাদের প্রায় বেশীর ভাগ লোকেরই ঈদের এই দিনটি কাটে ঘুমে । আর যাদের ছুটি ছিল না তাদের কেটেছে কাজে ।
আমরা বন্ধুরা যারা আছি তারা যে ভাবে ঈদ যাপন করলাম, মধ্যপ্রাচ্য আমাদের দেশের মত নয় সেই সকালে [ ৫.৩০ ] উঠে গোসল করে প্রথমে নামাজে গেলাম । নামাজ শেষে বন্ধুরা সব মিলে সবাই একে অপরের সাথে কৌশলাদি বিনিময় করে যার যার বাসায় চলে গেলাম । এদিকে বাইরে টিপ টাপ বৃষ্টি ঝরছিল, কখনো বা তা জোড়ে তাই আমাদের আর বাইরে বের হবার ইচ্ছা হল না ।
[ মধ্যপ্রাচ্যে সাধারণত শীত মৌসুমে বৃষ্টি হয়]
আমাদের ঈদের আনন্দ গেল গোল্লায় ।
ঈদের ২য় দিন সেই বৃষ্টি ঝড়ছে তো ঝড়ছেই, বাইরে বের হবারও মন চায়না, বিকাল বেলা আকাশ একটু পরিস্কার হলে, আমার বন্ধু আমার রুমে আসে তিন জন মিলে আমরা মার্কেটে গেলাম, কিছুহ্মণ ঘুরে পারফিউম এবং কাপড় কিনে বন্ধুর বাসায় এসে হাজির হলাম । বন্ধুরা এক সঙ্গে ছয় জন থাকেন, একজন বাবুল ভাই সে ঢাকাইয়ে, একজন চিটাগাইংয়ে নাম মুয়িন, একজন কাগু, বাড়ী কিশোর গন্জ, একজন ফেনি নাম লাল মিয়া , অপর দুইজন নোয়াখাইলে নাম আলম এবং ভাগিনা তার নাম অজানা । আর আমি হলাম রংপুরে ।
সেখানে আসা মাত্র সবাই লুডু খেলার জন্য বসে পড়লাম,খুব আনন্দ হচিছল ।
প্রবাসে এই মরুভূমির দেশে কখনো কেউ হাসেনি, হাসির কথা যেন সবাই ভূলে গিয়েছে, তাই কিছুহ্মণ হাসতে পেরে খুব ভাল লেগেছে ।
তারপর তাদের দাওয়তে সামিল হলাম, আমার এক বন্ধু বসে পিয়াছ, মরিচ, টমেটো কাটতে শুরূ করলো , আর আমরা বসে টিভি দেখছিলাম । কিছুহ্মণ পরে মুয়িন ভাই খানা হয়েছে বললে, সবাই খানা খেয়েনিলাম । রুই মাছ আর দেশী বেগুন তরকারী খুব সুন্দর হয়েছিল । এই জন্য মুয়িন ভাইকে ধন্যবাদ জানাই ।
কাল থেকে শুরু হবে আবার ব্যস্ততা । সবাই ভাল থাকবেন,
আবারও সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ।
আল্লা হাফেজ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।