আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমিত সম্ভাবনার দেশ-বাংলাদেশ ( ২য় পর্ব)

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি

পাথরকুচি থেকে বিদ্যুত এবার পাথর কুচি থেকে বিদ্যুত। অসাধারণ এক আবিষ্কার। আবিষ্কারক হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌরশক্তি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড· কামরুল আলম খান। এক একরে পাথরকুচি চাষ করে তা দিয়ে মাত্র ১কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা যাবে বিদ্যুত প্লান্ট। ৫০মেগাওয়াটের এই প্লান্ট থেকে প্রতিদিন উতপন্ন হবে ৩১ লাখ ২০হাজার টাকার বিদ্যুত।

৫০থেকে ৬০ বছর স্থায়ী হবে এই প্লান্ট । এক বছরে প্লান্ট থেকে বিদ্যুত পাওয়া যাবে ১১৪কোটি টাকার। এই বিষ্কর উদ্‌ভাবনকে কাজে লাগানো গেলে বিদ্যুতের আর কোন সঙ্কট থাকবেনা। গ্যাসের জন্য কমে যাবে উদ্বেগ। আর এ পাথরকুচি পাতা চাষ করে কৃষকের ঘরেও আসবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।

এক একর জমিতে পাথরকুচি আবাদ করে বছরে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উতপাদন করা যাবে। এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্লান্ট তৈরি করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অনেক লোকের কর্মসংস্থানও করা সম্ভব হবে। পর্যটন বিশ্ব পর্যটন শিল্পের মহাসচিব ফ্রান্সিকো ফ্রাংগিউলি বাংলাদেশ সফরে এসে বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনার অসাধারণ সৌন্দর্যমন্ডিত দেশ। এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য উন্নত প্রযুক্তি বা মূলধনের প্রয়োযন নেই। বরং দেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানব সৃষ্ট সুবিধাদি দ্বারাই এ শিল্পকে উন্নত করা যায়।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন রয়েছে বাংলাদেশে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার আমাদের গর্ব। রয়েছে নওগাঁর পাহাড়পুরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার। ঢাকার লালবাগ কেল্লা,বাগের হাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ,সিলেটের চা বাগান ছাড়াও দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পর্যটন ষ্পট। দুগ্ধশিল্প দুগ্ধশিল্প।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছিল,৩৬৬ কোটি টাকা উতপাদন মুখী পশু স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করা হলে এবং উন্নত মানের গোখাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে পারলে দেশি দুধের উতপাদন দ্বিগুন করা সম্ভব। অর্থাত ২১ লাখ ৫৬ হাজার টন তরল দুধ বাজারে যোগ করা যাবে। চা বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম চা রপ্তানিকারক দেশ। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ের মাটি চা উতপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। চা উতপাদনে সিলেটের মাটিতে যেসব গুণাবলী রয়েছে পঞ্চগড়েও সেসব গুণাবলী রয়েছে।

দিনাজপুর, ঠাঁকুরগাঁও এবং রংপুর অঞ্চলে ভারতের বিখ্যাত দার্জিলিং প্রজাপতির চা উতপাদন করতে পারলে অন্যন্য কৃষি পণ্যেও তুলনায় তিনগুণ লাভবান হওয়া সম্ভব। কয়লা বিশেষজ্ঞগণ বলেন,বাংলাদেশে যে পরিমান কয়লা মজুদ আছে তা উত্তোলন করতে পারলে ২০০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব। বড়পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত উতপাদন ২০৫-৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.