এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ। এ দেশে রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ। এ সম্পদ সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের অন্যতম অর্থনেতিক সমৃদ্ধশালী দেশ। ইবনে বতুতা এই দেশটিকে পৃথিবীর ধনী অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেন। সম্রাট হুমায়ুন প্রথম পদার্পণেই অবাক বিস্ময়ে এর নাম দেন জান্নাতাবাদ।
কিন্তু ঐতিহাসিক কাল থেকে উপর্যুপরি বিদেশীদের লুন্ঠন, ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র ও দুইশত বছরের শোষণ এবং পাকিস্তানী বৈষম্যের শিকারে এদেশ হয়েছে পিষ্ট। বঞ্চিত এই মানুষগুলো সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত স্বাধীনতা নিয়ে আশায় বেঁধেছিল বুক। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সোনারবাংলা স্বপ্নই থেকে যায় দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রাষ্ট্রনায়কদের সিদ্ধান্তহীনতার ফলে। তবুও থেমে নেই এ দেশের পরিশ্রমী জনগণ; শত ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝেও সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছেন দেশের কল্যাণে। তাইতো বিশ্ব প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশও এগুচ্ছে মাথা উঁচিয়ে।
একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে এসে যখন কোটামুক্ত বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প পাশ্চাত্যের বাজার জয় করছে, যখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স উত্তরোত্তর বাড়ছে, আসছে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ, যখন ড· মুহাম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, তখন অমিত সম্ভাবনার এই প্রিয় মাতৃভুমিকে নিয়ে স্বপ্নে উদ্বেলিত হই। ঠিক এই মুহুর্তে দরকার এক দল দেশপ্রেমিক, ন্যায়পরায়ণ, সত ও যোগ্য মানুষের, যাদের নেতৃত্বে ১৫ কোটি জনগণ সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দেবে।
২· সম্ভাবনার বাংলাদেশ···!
শব্দটি আমার কাছে খুব পরিচিতি। বিভিন্ন গোষ্ঠী, মহল ও ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায়ই শব্দ দু’টি আমরা শুনে থাকি। সত্যিকার অর্থে প্রতিটি জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কেউ সমৃদ্ধ, কেউ সমৃদ্ধির কাছাকাছি, কেউ আবার সমৃদ্ধি থেকে অনেক দূরে। সমৃদ্ধি অর্জনের কৌশল, পদ্ধতি নিয়ে প্রচুর গবেষণা, সেমিনার, লেখালেখি ও বক্তৃতা হচ্ছে। আসুন সম্ভাবনার বাংলাদেশের একটি প্রতিচ্ছবি কল্পনা করা যাক।
৩· মানব উন্নয়ন
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও ভৌত উভয় প্রকার উতপাদনশীল সম্পদ সৃষ্টি করতে প্রয়োজন সামাজিক খাতে ব্যাপক ব্যয়। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী নার্স ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ পাঠাতে পারলে বাংলাদেশ বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
৪· সমাজকল্যাণ
দুস্থ, দরিদ্র ও অসহায় এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির একটি শুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। তাই সরকার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, কিশোর অপরাধ দূরীকরণ ইত্যাদি ব্যাপক কর্মসূচী পরিচালনা করছে। অধিক বয়স্ক-দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য ভাতা নিশ্চিত করতে সরকার বয়স্কদের বয়সসীমা প্রথমে ৫৭ হতে ৬০ এবং সম্প্রতি ৬৫-তে উন্নীত করে। ২০০১-০২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দকৃত ৫০ কোটি টাকা বিপরীতে মাসিক ১০০ টাকা হারে ৪১৫১৭০ জন বয়স্ক লোক উপকৃত হয়, যা ২০০৪-০৫ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ২৬০ কোটি ৩৭ ল টাকা হয় এবং এতে উপকৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ ল ১৫ হাজার জন।
৫· কৃষি
বিশেষজ্ঞগণ আশা করছেন-২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ প্রায় সকল প্রকার কৃষি পণ্য বা কৃষি শস্য উতপাদনে সম হবে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। জিডিপিতে (২০০৫-২০০৬) কৃষির বিভিন্ন উপখাতের সমন্বিত অবদান ২১·৭৭%। BBS LAbour Force Survey; ২০০২-০৩ অনুযায়ী দেশের মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৫১·৭ ভাগ কৃষিখাতে নিয়োজিত। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মতে, মার্চ ২০০৬ পর্যন্ত দেশের মোট রপ্তানিতে কৃষিজাত পণ্যের অবদান শতকরা ৬·২৭ ভাগ। কৃষিখাতে ভর্তুকি ও সহায়তা হিসেব ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং ২০০৪-০৫ অর্থবছরের ৪৯৫৬৭৮ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়।
৬· শিক্ষা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইসের ২০০৬ সালের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ১৯৭৬৬টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩০২টি সাধারণ কলেজ, ৯০৫১টি মাদ্রাসা, ১১৭টি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট, ৬৪টি ভোকেশনাল ইনষ্টিটিউট, ২২টি পাবলিক ইউনিভার্সিটি ও ৫৪টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। ২০০৬ সনের সাময়িক তথ্য অনুযায়ী নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮,০৮, ১৯৫৬ জন, কলেজ পর্যায়ে ১,০০৭, ২৪১ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় ২৯,৪৫,৮২৪ জন। নারী শিক্ষায় ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে নারীর মতায়ন ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষে সরকার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদেরকে উপবৃত্তি প্রাপ্ত বেতন মওকুফ সুবিধা প্রদান করেছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত ৪৭·৫৩। উল্লেখ্য, ব্যানবেইসের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে দেশে শিক্ষার হার ৬৫·৫%।
৭· তথ্যপ্রযুক্তি
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা শুধু স্যাটেলাইট নির্ভর ছিল যা ব্যয়বহুল, ধীর গতি ও স্বল্প ব্যান্ড উইথ সম্পন্ন। ডিসেম্বর ২০০৫ এ সাবমেরিনকেবল এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০০৬ থেকে এর কার্যক্রম চালু হয়েছে। সাবমেরিন কেবল সিষ্টেমের সফল ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশে তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত নানাবিধ কর্মকান্ডের দ্রুত বিকাশ লাভ করবে। দেশে অপটিক্যাল ফাইবার সুবিধার ফলে-ইগভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন ও টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালু করা যাবে এবং অন্যান্য দেশের সাথে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস সার্কিট বাড়ানোর উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৮· প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদআয়তনে ক্ষুদ্র হলেও বাংলাদেশের ভূ-গর্ভে লুকায়িত রয়েছে চুনাপাথর, তামা, সিলিকা বালু, লবণ, কঠিন শিলা, চীনা মাটি ইত্যাদি অসংখ্য খনিজ সম্পদ।
নেত্রকোনা জেলার অবস্থিত খনিতে চীনা মাটির পরিমাণ আনুমানিক ৪ ল ৬৪ হাজার টন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে তেজস্ত্র্নিয় বালি- ইলমেনাইট, জিরকন, মোনাজাইট, রিওটাইল, ম্যাগনোটাইট, লিউকক্সিন ইতাদি পাওয়া গেছে যা (black gold) বা ‘কালো সোনা’ হিসেবে খ্যাত। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পাহাড়ে ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, হবিগঞ্জের শাহজীবাজার, জামালপুরের ঝালিঝুরিতে সিলিকা বালির সন্ধান পাওয়া গেছে। দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কয়লা খনিতে সোনা এবং দীঘিপাড়া ও নওগাঁর পত্নীতলা কয়লা খনিতে রূপা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৯· গ্যাস
গ্যাস দেশের মোট জ্বালানির প্রায় ৭০ ভাগ পূরণ করে। এ পর্যন্ত আবিস্কৃত ২৩টি গ্যাস ক্ষেত্রের ২২টিতে মোট প্রাক্কালিত গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৮·৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং প্রাথমিক উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ২০·৫১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। International Energy Outlook 2000 Gi Wordlwide look at Reserve and Production Journal-এ উল্লেখ করা হয়েছে-২০২০ সালে বাংলাদেশ হবে প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর একক জ্বালানি দেশ। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ ও পেট্রোবাংলা যৌথ সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়- বাংলাদেশে অনাবিস্কৃত প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ প্রায় ৩২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
১০· �"ঔষধ শিল্প
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বল্পোন্নত দেশ হয়েও বিগত কয়েক বছরে �"ষধ শিল্পে প্রশংসনীয় উন্নতি লাভ করেছে।
খুব উন্নত প্রযুক্তির কিছু �"ঔষধ ছাড়া প্রয়োজনীয় প্রায় সকল প্রকার (৯৬৫) �"ষধ বর্তমানে স্থানীয় ভাবে উতপাদিত হচ্ছে। সর্বমোট ২৩৭টি এ্যালোপ্যাথিক �"ষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ১৪০০০ ব্রান্ডের ৪৭০০ কোটি টাকার �"ঔষধ ও �"ঔষধের কাঁচামাল উদপাদন করছে। �"ঔষধ শিল্পে Good Medicine Proactive (GMP) অনুশীলনে অগ্রগতি ও উতপাদিত �"ঔষধ আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন বিধায় বর্তমানে ২৭টি কোম্পানির দেশে উতপাদিত ১৮২টি ব্রান্ডের বিভিন্ন প্রকারের �"ঔষধ ও কাঁচামাল জাপান, কানাডা, ইতালি, কোরিয়া, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৬৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং এ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ �"ষধ শিল্পে আমদানিকারক দেশের পরিবর্তে রপ্তানিকারক দেশের গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশই খউঈ ভুক্ত একমাত্র দেশ যা অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মেটানোর পর রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের �"ষধ শিল্পই আগামীতে বস্ত্র শিল্পের সম্ভাবনার সমান কাতারে অবস্থান করবে।
১১· কুটির শিল্প
নক্শী কাঁথা, পটচিত্র, শখের হাঁড়ি, পুতুলচিত্র, খেলনাচিত্র, বয়নশিল্প, চারু কারুশিল্প, হস্তশিল্পে এই স্বতন্ত্র ভুবনে অমিত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।
১২· সম্ভাবনার বাংলাদেশঃ
সমস্যার অন্তরালেআমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, সোনার বাংলাদেশ, যা অধিক জনসংখ্যার দোষে দুষ্ট আজ বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে যা আমাদেরকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায়। নিন্মোক্ত সমস্যাবলিকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে অন্তরায় হিসেবে দেখানো যেতে পারে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, যৌতুক, এসিড সন্ত্রাস, অপুষ্টি, মাতৃমৃত্যু শিশুমৃত্যু, পথশিশু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি সমস্যাবলি বেশ প্রকট রূপ ধারণ করেছে। অন্য দিকে মনোসামাজিক সঙ্কট নানাবিধ জটিল সমস্যার জন্য দায়ী- মাদকাশক্তি, আত্মহত্যা, ইত্যাদি।
সুশাসনের সূচকগুলোও ভালো যাচ্ছে বলে দাবি করা দুষ্কর। এখনো মানবাধিকার, দুর্নীতি, গণতন্ত্র ইত্যাদি ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রশ্নবিদ্ধ।
১৩· একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
সার্বজনীন শিক্ষা, সচেতনতা, শিল্পায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাঙ্খিত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া যেতে পারে। যেখানে স্বাস্থ্য সেবা-চিকিতসা, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, প্রজনন স্বাস্থ্য, শিক্ষাব্যবস্থা, সার্বজনীন কাঙ্খিত শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষাসহ অন্যান্য সূচকগুলোও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চেতনাকে প্রভাবিত করবে। সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাকাতের সঠিক চর্চা ইত্যাদি পদক্ষেপের মাধ্যমে দারিদ্র্যকে দূরীভূত করা হবে।
পাশাপাশি পরমতে শ্রদ্ধা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কমিটমেন্ট স্বচ্ছতা ইত্যাদি পূর্বশর্ত নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসনের কাঙ্খিত অর্জন বাংলাদেশকে ঠিকই সমৃদ্ধ করে তুলবে। সবচেয়ে আশার দিক হলো বাংলাদেশে ঈর্ষা করার মতো একটি যুবসমাজ রয়েছে। যাদের দায়িত্বের প্রতি কমিটমেন্ট এ লক্ষ্য অর্জনে গতি সঞ্চার করবে।
১৪· পনের কোটি মানুষের ত্রিশ কোটি হাত
বাংলাদেশে রয়েছে পনের কোটি হাত। আজ পনের কোটি মানুষ ত্রিশ কোটি হাত বাংলাদেশের জন্য ফাস নয়, অভিসম্পাদ নয় বরং সেরা সম্পদ এবং আশির্বাদ।
শুধু এ জন্যেই পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট্ট বাংলাদেশ সবার কাছে বিশাল বাংলাদেশ। কোন প্রকার বিভাজন নয় বরং ঐক্যবদ্ধ পনের কোটি মানুষ আজ আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন দেখে। আমরা যদি প্রতিটি মানুষকে মানুষ করি, ত্রিশ কোটি হাতকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ কর্মীর হাতে পরিণত করি, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান থেকে বিশাল উত্তরণ সম্ভব। এমনকি বাংলাদেশের বর্তমান আয় বেড়ে দাড়াতে পারে দ্বিগুণ, দশগুণ, বিশগুণ, পঞ্চাশগুণ, একশতগুণ এমনটি একহাজারগুণের বেশী। আমরা কি পারি না বিষয়গুলি নিয়ে গভীর চিন্তা করতে এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে?
(লেখাটি আরটিএনএন -এ প্রকাশিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।