আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।
ঢাকার ফুটপাথ দিয়ে হাটছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল খালি গায়ে ধুলা বালিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে একটি ছোট্ট শিশু। কত হবে বয়স; দেড় কি দুই । ওর মা হয়তো রাস্তায় ভিক্ষা করছে।
শিশুটি প্রসাব করেছে এবং হাত দিয়ে চাপড় মারছে তার উপর, একটু পর পর সেই হাত মুখের ভিতর ঢুকাচ্ছে। পানি গয়ে লেগে শীতে শরীর একটু কাটা দিয়ে উঠেছে। নাক দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি আর জিহ্বাদিয়ে তা খেয়ে ফেলছে। হঠাৎ বেশ ঠান্ডা পড়েছে, গায়ে হাল্কা গরম কাপড় তার পরেও বেশ ঠান্ডা বাতাস। শরীর আরো উষ্নতা খুঁজছে।
বাচ্চাটাকে দেখে বড্ড মায়া হচ্ছে; কে ওর মা? আশে পাশেতো কাউকেই দেখছি না; বাচ্চা যদি হঠাৎ গড়িয়ে ব্যস্ত রাস্তার উপর পড়ে ! এতটুকু ছোট্ট বাচ্চা অথচ মা-বাবা ছাড়া একা ফুট-পাথে প্রসাব আর ধুলার মিশ্রন নিয়ে খেলছে; সারাদিন সেই শিশুটির কথা ভুলতে পারিনি। আগেও এমন দৃশ্য অনেক দেখেছি কিন্তু এমন অনুভুতিতো কখনো হয়নি; তাহলে এখন এমন উতলা লাগছে কেন মন? তার কারন আমিও বাবা এবং আমার ঘরেও ওর বয়সি একটা বাচ্চা আছে। যার হাতে একটু ময়লা লাগলে তিনবার সাবান দিয়ে ধুয়ে দেই। সামান্য শীত পড়লে গরম কাপড় পরিয়ে দেই। সামান্য ধুলা লেগেছে দেখলে মুছতে ব্যাতিব্যস্ত হয়ে পড়ি।
একা কখনো চোখের আড়াল হলে মন উতালা হয়ে যায়। ক্ষুধা লাগার আগে খাবার নিয়ে খাওয়াতে লেগে যাই।
ভাবছি কি ভাগ্য এই পথশিশুদের ! ওদরে জন্য দেশ কি করছে ? কিছুই না, তাহলে দেশ এদের কাছ থেকে কি পাবে ? এরা উপহার দিবে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি এবং নেশা গ্রস্থ সমাজ যে সমাজের সবাই মাতাল। এরাই হবে একদিন নামকরা টোকাই, হাতে প্লষ্টিকের ব্যাগ নিয়ে ডাষ্টবিনে ডাষ্টবিনে ঘুরে বেড়াবে দু'মুঠো অন্নের খোঁজে !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।