বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দরিদ্রতম দেশ নয় বরং ক্ষমতায় অত্যধিক দুর্বল একটি দেশ। ফলে পৃথিবীর আর অন্যান্য দেশে যা কল্পনাতীত, বৈদেশিক দূতাবাস তাই বাস্তবে করে আসছে বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বিদেশী দূতাবাসসমূহ শুধু সরকারকে নীতি প্রণয়ন করে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে না, বরং ভিসা ইত্যাদির ব্যাপারে তারা যা পার্শ্ববর্তী দেশেও যে নীতিমালা প্রয়োগ করতে সাহস পায় না, বাংলাদেশে তাই এককভাবে প্রযোজ্য হয়ে আসছে।
উদাহরণস্বরূপ, কারও ভিসা দরখাস্ত নাকচ হলে বাংলাদেশী পাসপোর্টে তেমন কোন তথ্য সংযোজনের অধিকার বিদেশী দূতাবাস পায় কোত্থেকে? একজন ভিসা দরখাস্তকারীর পর্যাপ্ত অর্থ আছে কি-না, বা সে সেই অর্থ কিভাবে লাভ করেছে বা তার ট্রেড লাইসেন্স আছে কি-না ইত্যাদি কোন কিছু জানবার প্রচেষ্টা শুধু দূতাবাসের দৃষ্টতা এবং দুঃসাহসের পরিচায়ক এবং আমাদের পররাষ্ট্র দফতরের অদক্ষতার প্রমাণ। আবার বৃটিশ হাইকমিশন নিজেদের অযোগ্যতা এবং অদক্ষতা এড়াবার জন্য ভিসা দরখাস্তের গ্রহণ ইত্যাদি কার্যক্রমের জন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগ দিয়েছে এবং সেই সংস্থা কোন বাংলাদেশী নয়, একটি ভারতীয় সংস্থা। ফলে প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিককে ভিসা বাবদ প্রচুর অর্থ আক্কেল সেলামী দিতে হচ্ছে হাইকমিশনের অদক্ষতাকে আড়াল করে একটি ভারতীয় সংস্থাকে আর্থিক সচ্ছলতা দেবার জন্য। অথচ আমাদের দুর্বল সরকার সমস্ত কিছু জেনে-শুনেও মূক ও বধিরের অভিনয় করে চলছে। বিদেশী দূতাবাসসমূহের এই যে স্বেচ্ছাচারিতা, জনগণের আর্থিক অপচয় করবার বিকৃত বাসনা এবং নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের যে হীন মনমানসিকতা তার কি প্রতিরোধের কোন পথ নেই?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।