চতুর্মাত্রিক.কম (choturmatrik.com)
জনমুখর রাজপথগুলো একে একে
স্তব্ধ হয়ে আসে
শূন্য প্রিয়মুখেরা নিঃশব্দে, অবিশ্বাস্য গতিতে
হারিয়ে যায়
Crowded streets all cleared away
One by One
Hollow heroes separate
As they run
তুমি কি প্রবল শীতল!
আমার হাতে হাত রাখো
যখন জ্ঞানীরা বসে ভাবছে আকাশ পাতাল
আর দুর্দান্তেরা মারা গেছে
You're so cold
Keep your hand in mine
Wise men wonder while
Strong men die
কোনো ভয় নেই, আমাকে দেখাও কিভাবে শেষ হবে সবকিছু
আমাকে দেখাও তুমি কতোটা ভঙ্গুর, কতটা অসহায়
ফোকলা ভেতর তোমার, তৃপ্ত করো তাকে
ঠিক আছে তো, না? চলো আরো একবার দেখি।
Show me how it end, it's alright
Show me how defenseless you really are
Satisfy an empty inside
That's alright, let's give this another try
যদি তুমি তোমার সাথীদের খুঁজে পাও, কেঁদো না
এ এক অসমসম্ভবের দেশ! মৃত ও ধূসর
If you find your family, don't you cry
In this land of make-believe, dead and dry
তুমি কী প্রবল শীতল, তবু তুমি বেঁচে থাকো
আমার হাতে আর একবার হাত রাখো
You're so cold, but you feel alive
Lay your hands on me one last time
***~~~***___***~~~***
নিজের ব্লগের পাতাটা ঘোরার সময়ে আমি মাঝে মাঝে পরিসংখ্যানটা দেখি। সংখ্যাগুলো দেখে মনে হয় আমি এইখানে অনেকদিন ধরেই আছি। (অনেকে আমার চাইতে দ্বিগুণ সম্য ধরে আছেন, কিন্তু তাঁদের অনুভূতি তো আমার জানা নেই। আমারটাই খালি আমি জানি!)
শুনেছি ব্লগিংয়ের একটা 'তীব্রকাল' থাকে।
খেয়ে না-খেয়ে ব্লগিং করে মানুষজন। সবকিছুই, ভালো খারাপ সব মিলিয়ে তাকে প্রচণ্ড উদ্দীপিত করে। তখন সব পোস্টেই সে কমেন্ট করে, প্রতিক্রিয়া জানায়।
তারপরে একটা সময়ে ধীরে ধীরে তীব্রতা কমে আসে। অনেকে জীবন-যাপনে ব্যস্ত হয়ে যায়।
তারপরে তাদের ব্লগ লেখা, ব্লগ পড়ার হার কমে আসে। একই ধরনের পোস্টগুলো আর আগের মতো টানে না। নিত্যনতুন ব্লগারদের সাথে পরিচিত হওয়ার এবং মিথস্ক্রিয়ায় মেতে ওঠার উৎসাহতেও ভাঁটা পড়ে। বেশিরভাগ ব্লগারের জন্যে এই সময়টা ক্রিটিকাল। কারণ এই সময়ে নতুন একটা ব্লগিংয়ের ধরন বেছে না নিলে, তারা ধীরে ধীরে নীরব পাঠক-এ পরিণত হন।
আমি প্রথম থেকে কবিতাই লিখতাম। নতুন বলে, অনেকে পড়তেন, আবার নতুন বলেই অনেকে পড়তেন না। তারপরে কোনো না কোনোভাবে একটু একটু করে অনেকের লেখা পড়া হয়েছে। আর দশজনের মতো আমি তেমন আড্ডাবাজ নই, সামাজিকতায় অপটু অনেকটাই। কোনো ব্লগ পড়ে সৎভাবে সেটা বিচারের চেষ্টা করি সবসময়েই, তাতে আবার কারো কারো মনে অনিচ্ছাবশত আঘাতও দিয়েছি হয়তো।
তবু এতো সব প্রতিকূলতা এড়িয়ে কিছু মানুষের সাথে পরিচয় ঘটেছে এই স্ফিয়ারে। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে তীব্র নিদ্রাহীনতার রাতে সেই গোলকের মধ্যে সরাসরি মানুষটাকেই দেখেছি! আমার বিভ্রম হয়তো, কিন্তু আমার কাছে সত্যি সেটা!
এর মাঝে কয়েকজন ব্লগার অসম্ভব প্রজ্ঞাবান। সবাই জ্ঞান বা নলেজ অর্জন করতে পারেন, কিন্তু সেই নলেজ থেকে নিজস্ব ডিডাকশন বা নিজস্ব মতামত সবাই তৈরি করতে পারেন না। যাঁরা পারেন, তাদেরকেই প্রজ্ঞাবান বা ওয়াইজ বলে সবাই। কোনো কোনো লেখায় সেই বুদ্ধিদীপ্ত প্রজ্ঞা দেখে অবাক হয়েছি।
আরো বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করেছি সেইসব লেখকদের সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র খেয়াল নাই। তারা আড্ডাবাজ, একই সাথে গম্ভীর ও মিশুক।
গল্প লেখেন আকাশচুরি, মোস্তাফিজ রিপন, (অ)গাণিতিক-- যাঁদের লেখা আমি মুগ্ধ হয়ে পড়ি। কবিতা লেখেন আন্দালীব, মুক্তি মণ্ডল, আমি ও আমরা, অন্যমনস্ক শরৎ-- যেগুলো পড়লে আমারও বুদবুদের মতো শব্দ আর সুর ফুটে ওঠে! ব্লগ লেখেন আকাশ অম্বর, কবিতা নিয়ে দীর্ঘ মনোহর লেখা দেন আহমাদ মোস্তফা কামাল, মাঝে মাঝে আমাদের বাস্তবতা নিয়ে ক্ষেপে ওঠেন সামী মিয়াদাদ, তিমি মাছ দেখে সেই গল্প বলেন শূন্য আরণ্যক, জীবনানন্দের প্রতি প্রবল ভালোবাসায় লেখেন একরামুল হক শামীম। এমন হাজারো লেখা, অসংখ্য প্রিয়মুখ, প্রিয়নাম!!
এই গোলকের বাইরেও একটা পৃথিবী আছে, যেটা আমি প্রায়ই ভুলে যাই।
সেখানে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, বাণিজ্য, বিকৃতি মিলে মিশে আছে যাবতীয় সৌন্দর্যের সাথে। আমি সেগুলো ভুলে থাকার চেষ্টাই করি এখানে এসে।
তারপরে এখন দেখি আমি হঠাৎই অনেকটা একা। অনেকটা শীতল। অনেকটা নিঃসঙ্গ।
মাঝে মাঝে রাতে ঘুম আসে না, আমি চুপচাপ ব্লগ থেকে ব্লগে ঘুরি (অবশ্যই অফলাইনে, নিজের আগ্রহ ও আবেগ প্রকাশে আমি বিব্রত)। তারপরে দেখি মাসের পর মাস ধরে সেই সব ব্লগে কোনো লেখা নেই, মন্তব্য নেই। তারা অন্য ব্লগে গেছেন এমনও চিহ্ন নাই!
তারপরে আমি নিজেও অনেক চুপচাপ হয়ে উঠি। আমার কথা ফুরিয়ে যায়। স্ফিয়ারের ভেতরে নিজেকে বন্দী বলে মনে হয়।
রাগ বা ক্ষোভ নয়, আমি বেদনাবোধ করি।
====
শুনেছি শোকের পাঁচটি ধাপ আছেঃ
1-Denial-"this can't be happening to me". No crying. Not accepting or even acknowledging the loss.
2-Anger-"why me?", feelings of wanting to fight back or get even with the cause, for death, anger at the deceased, blaming them for leaving.
3-Bargaining-bargaining often takes place before the loss. Attempting to make deals with God to stop or change the loss. Begging, wishing, praying for them to come back.
4-Depression-overwhelming feelings of hopelessness, frustration, bitterness, self pity. Feeling lack of control, feeling numb. Perhaps feeling suicidal.
5-Acceptance-there is a difference between resignation and acceptance. You have to accept the loss, not just try to bear it quietly.
====
যাঁদেরকে এই ব্লগে আমি এখনো একা একা খুঁজি, তাঁদের জন্যে এই লেখাটা। আমি সম্ভবত শেষ ধাপে পৌঁছে গেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।