আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দক্ষ চাকর নয়, আদর্শ মানুষ গঠনের শিক্ষাব্যবস্থা চাই!

কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মূল হল ব্রিটিশদের তৈরী। ব্রিটিশ শাষনের পূর্বেকার শিক্ষাব্যবস্থার পুরো অংশ জুড়েই ছিল নৈতিকতার বিশেষ করে ইসলামী মৌলিক ভিত্তির সাথে সাথে বাস্তব প্রয়োগের অনুশীলন। সে সময়কার শিক্ষাব্যবস্থা মানুষকে নৈতিক মানে উচ্চস্তরে নিয়ে আসত এবং সেই সাথে দক্ষ ও দেশপ্রেমিক একজন পেশাজীবিতে পরিণত করত। ব্রিটিশ শাষকেরা ইসলাম এবং নৈতিকতাকে পেছনের সারিতে যাচ্ছেতাই ভঙ্গিতে ফেলে রেখে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করে। সে শিক্ষাব্যবস্থা মূল উদ্দেশ্যই ছিল জনগনকে দক্ষ চাকর ও খাদেমে পরিণত করা।

দেশপ্রেম, জাতীয় ও আদর্শিক মূল্যবোধকে অপ্রাসঙ্গিক বলে বিবেচনা করতে শেখাল তারা। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা তথা স্বার্থপরতার শিক্ষাব্যবস্থার সামান্য পরিবর্তিত রূপ এখনো চলছে। ব্রিটিষ শাষনের অবসানের পর তথা পাকিস্তানের জন্মের পর খানিকটা পরিবর্তন এসেছে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় তবে সেই পরিবর্তন নৈতিক শিক্ষার দিকে খানিকটা এগোলেও তা পরিপূর্ন নয়। পরবর্তিতে ড. কুদরত-ই-খুদা তার সেই এগোনোর রাস্তাও বন্ধ করে দিতে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাবিত একটি সেকুলার শিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা অঙ্কন করেন। তিনিও চেয়েছিলেন যে, শিশুরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিক ভালভাবে ফুটফরমায়েশ খাটার যোগ্যতাকে।

যদিও রাজনৈতিক পটপরিবর্তন তাঁর অসদুদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপ দেয়ার পথকে বন্ধ করে দিয়েছে। আবারো ড. কুদরত-ই-খুদা কমিশনের রিপোর্টকে গুরুত্ব দিয়ে শেকড় নিয়ে সংশয়বাদী চক্র শেকড়বিহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে আগ্রহী কিংবা মরিয়া হয়ে উঠেছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, শেয়ালের লেজ কাটা গিয়েছে বলেই সে অন্যের লেজগুলোকে সহ্য করতে পারছেনা। তবে একটা জিনিস ভেবে মজা লাগছে তা হল, কুদরত-ই-খুদা সাহেবের রিপোর্টকে লেজকাটা শেয়ালের দল শেয়াল পন্ডিতীয় পান্ডিত্য দিয়ে বেশ পরিবর্তন করে নিয়েছে। অর্থাৎ কুদরত মিয়ার কুদরতী আজকে আর ধোপে টিকছেনা।

এতে পরিবর্তন ও সংশোধন আনতে হয়েছে। কুদরত সাহেবের রিপোর্ট যদি সময়ের পরিবর্তনে পরিবর্তনের অবকাশ রাখে তবে নিশ্চয়ই আজকের রিপোর্টও আগামী দিনে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করাবে। অতএব, এই অনিশ্চিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ত্যাগ করে স্থায়ী একটা শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়ন করা উচিত। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা হওয়া উচিত উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী, সহানুভূতিশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরীর উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.