তুই থেকে তুমি, অতঃপর আরোদুটি ভগ্নহৃদয়ে ক্লান্তপ্রাণ । শেষ বিকেলে, খানিকটা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাংতে, বিছনায় শুয়ে শুয়ে শুনছিলাম, পাশের বিল্ডিং এ কয়েকটা মেয়ে স্বরে উলু ধ্বনি। মনে ইষৎ বিকল অনুভব কাজ করছিলো।পৃথিবিতে একটা বৃহৎ কর্মপ্রবাহ চলছে, যার অধিকাংশের সাথেই আমার যোগ নেই, আমি তাদের কেউই না, অথচ তাদের কতকত কাজ, আনন্দ-উৎসব, মুহুর্ত-ক্ষণ। ওই উলু ধ্বনি-একটা পরিচয়,দূর থেকে ভেসে আসা ওই পরিবারের, সংশিষ্ট মানুষগুলর-সম্পুর্ণ অপরিচিত একটি ঘরের একটুখানি আনন্দ বার্তা। আমার কাছে আমি যত বড়ই হই,আমাকে দিয়ে আমি এ পুরো পৃথিবী কখনই পরিপূর্ণ করতে পারিনি,অধিকাংশ জগৎই আমার অজ্ঞাত, অনাত্নীয়,আমাহীন, প্রান্তবর্তী।আমিও এ পৃথিবীর একজন দাবি করতে পারি, আমার উপস্থিতির-আমার দাবির জানান দিতে পারি, মাথা উচিয়ে-হাত মুঠো করে-চিৎকার জুড়ে, আমার প্রতিবাদের ভাষা ভিন্ন হতে পারে, বিভিন্ন হতে পারে। তবে, আমার কোন অধিকার নেই, আমার কিছুই আমাহীন কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার... স্বতঃস্ফুর্তভাবে নিতে দিও, চাপিয়ে দেয়ার মানসীকতা ঘৃণ্য...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।