হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. নবী করিম সা.-এর বানী উদ্ধৃত করে বলেন, জান্নাতে এমন সুদৃশ্য অট্টালিকা হবে, যেগুলির ভিতর ভাগের সৌন্দর্য্য বাহির থেকে দৃষ্টিগোচর হবে। ভিতর থেকে বাইরের সবকিছু দেখা যাবে।
এক ব্যক্তি আরজ করলেন, এরূপ মনোরম হর্মরাজিতে কারা বাস করবেন?
বললেন-
১. যারা সব সময় ক্ষুধার্তদের খানা খাওয়ায়।
২. নিতান্ত হাসি মুখে একে অপরের সাথে মিলিত হয়।
৩. যারা সব সময় রোজা রাখে।
৪. যারা ব্যাপকভাবে সালামের বিস্তার ঘটায়।
৫. গভীর রাতে মানুষ যখন সুপ্তিমগ্ন থাকে, তখন যারা জাগ্রত হয়ে নামায পড়ে।
সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এমন কঠিন তপস্যা তো সাধারণের পক্ষে সম্ভব হবে না, সুতরাং তাদের কি উপায় হবে?
বললেন-
১. যে ব্যক্তি কঠিন শ্রমের মাধ্যমে উপার্জন করে পরিবার-পরিজনের ভরন-পোষণ করে, সেও সব সময় ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার পূণ্যের ভাগী হবে।
২. সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ওজিফা করা সর্বোত্তম নেকির কাজ সমূহের অন্তর্ভুক্ত।
৩. যে ব্যক্তি যত্ন সহকারে রমজানের রোজা রাখে সে সর্বদা রোজা রাখার নেকী লাভ করে।
৪. যে ব্যক্তি তার নিকটজনদেরকে সালাম করায় অভ্যস্ত সে ব্যাপক সালাম বিস্তার করার নেকী লাভ করে।
৫. যে ব্যক্তি এশা এবং ফজরের নামায জামাতের সাথে আদায় করে সে সমগ্র রাত জেগে এবাদত করার নেকী লাভ করে।
সাহাবী হযরত আবুযর গেফারী রা. একদিন তাঁর এক কর্মচারীর মুখে চপেটাঘাত করেছিলেন। একথা হযরত নবী করিমের সা. গোচরিভূত হলে বললেন, আবুযর! হতে পারে সে একজন ছোট কর্মচারী! কিন্তু সে একজন নামাযী ব্যক্তি। তার চেহারায় আঘাত করাটা গুরুতর অন্যায় হয়েছে।
এ সব নিরীহ কর্মচারীদের সাথে সর্বদা সদাচরণ করবে। নিজেরা যা খাও, তাদেরকেও তাই খেতে দিবে। নিজেরা যেরূপ পোশাক পরিধান কর, তাদেরকেও সে মানের পোশাক পরতে দিবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।