বা
বুদ্ধদেব বসু
গাঁয়ের মেয়েরা
আকাশে সূর্যের অটল আক্রোশে, জ্বলছে রুদ্রের রক্তচু,
মাটির ফাটে বুক, শুকনো জলাশয়, ধুকছে নির্বাক পশুরা;
শস্যহীন মাঠ, বন্ধ্যা সধবারা, দিনের পর দিন দীর্ণ, শূণ্য-
বৃষ্টি নেই।
দু:খ আমাদের মুখরা ননদিনী, মৃত্যু আমাদের পূজ্য ব্রাক্ষ্মণ,
তবু তো কিছু ভালো মেনেছি সংসারে, জেনেছি দেবতারা বন্ধু-
যেহেতু ফলে ওঠে সোনালি ধান আর সোনার সন্তান মায়ের কোলে,
এবং অগ্নি ও জলের মিতালিতে অমৃতস্বাদ পায় অন্ন।
বল তো, বোন, কবে আবার মধুবতী গাভীর বাঁট হবে উচ্ছল?
ঢেকির গম্ভীর শব্দে দিয়ে তাল জাগবে হাতে-পায়ে ভঙ্গি?
ব্যাঙের ছাতা কবে সাজাবে পৃথিবীরে? ডাকবে উল্লাসে দর্দুর?
শিশিরবিন্দুর আদরে ভরপুর ঝুলবে আঙিনায় কুমড়ো?
যেমন বেঁচে থাকে কোন্নো, কেঁচো, আর মাটিতে বুক টেনে পন্নগ,
যোজন পার হয়ে কান্ত কুর্মেরা আবার ফিরে পায় সিন্ধু,
তেমনি ঋতু আর শ্রমের আশ্রয়ে চিন্তাহীন বাঁচি আমরা-
অথচ বিনা কাজে বিহান কাটে আজ, নামে না সন্ধ্যায় শান্তি।
অঙ্গরাজ! বলো, করেছি কোন পাপ, এ কোন অভিশাপ লাগলো!
জননী বসূমতী, ভুলো না আমারাও তোমারই গর্ভের পরিণাম।
হে দেব, ঐরেশ! মহান! মঘবান! এবার দয়া করো, বৃষ্টি দাও-
বৃষ্টি দাও।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।